আবির দত্ত, কলকাতা : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে রাজ্যে আরও ৫ জন স্পেশাল রোল অবজার্ভার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, ডবল এন্ট্রি রুখতে BLO-দের অ্যাপে যোগ করা হল নতুন অপশন। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। SIR-এর এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ পর্ব প্রায় শেষ লগ্নে। তার মধ্য়েও সামনে আসছে নানা গরমিলের অভিযোগ। এই আবহে রাজ্যে আরও ৫ জন স্পেশাল রোল অবজার্ভার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।

Continues below advertisement

SIR শুরুর প্রায় এক মাসের মাথায় পশ্চিমবঙ্গে স্পেশাল রোল অবজার্ভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার সুব্রত গুপ্তকে। পাশাপাশি ১২ জন অভিজ্ঞ IAS অফিসারকে অবজার্ভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। তারপরই শুরু হতে চলেছে শুনানি পর্ব। তার আগে সোমবার দিল্লিতে রাজ্যের স্পেশাল রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্তর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

আর এই দিনই রাজ্যে আরও ৫ জন স্পেশাল রোল অবজার্ভার নিয়োগের ঘোষণা করল কমিশন। প্রেসিডেন্সি ডিভিশনের জন্য় IAS অফিসার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব কুমার রবিকান্ত সিং। বর্ধমান ডিভিশনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব কৃষ্ণ কুমার নিরালা। মেদিনীপুর ডিভিশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নীরজ কুমার বানসোদ। মালদা ডিভিশনে অর্থ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অলোক তিওয়ারি এবং জলপাইগুড়ি ডিভিশনে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পঙ্কজ যাদবকে নিয়োগ করা হয়েছে। পয়লা জানুয়ারি থেকে অর্থাৎ শুনানি পর্বে SIR প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবেন ৫ জন স্পেশাল রোল অবজার্ভার। অন্য়দিকে, SIR-এ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে পাঁচজন স্পেশাল রোল অবজার্ভার নিয়োগ নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। 

Continues below advertisement

অন্যদিকে, ডবল এন্ট্রি রুখতে BLO-দের অ্যাপে যোগ করা হল নতুন অপশন। তালিকায় একই নামের ভোটাররা একই ব্যক্তি, নাকি আলাদা? তা যাচাই করে ডুপ্লিকেট ইলেকটর ভেরিফিকেশন অপশনে তথ্য দিতে হবে BLO-দের। ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজে আরও কড়া কমিশন। BLO-দের নতুন ৩ 'নির্দেশ' নির্বাচন কমিশনের। চিহ্নিত ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজে বুথ ধরে তালিকা। বুথ ধরে ধরে তালিকা BLO-দের কাছে পাঠাল কমিশন, খবর সূত্রের। অন্য কোথাও কি নাম আছে? ভোটারদের সঙ্গে ফের যোগাযোগের নির্দেশ। ৫০ বছরের বেশি বয়স, কিন্তু ২০০২ সালে নাম না থাকলে ফের যাচাইয়ের নির্দেশ। কেন ২০০২ সালে নাম ছিল না, কারণ উল্লেখ করতে হবে আপলোড করা ফর্মে। ৮৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটারদের কাছে আরও একবার পৌঁছতে হবে। ৮৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটারদের ফর্ম হাতে ধরে ৩০ সেকেন্ডের বেশি ভিডিও করতে হবে, সেই ভিডিও পাঠাতে হবে কমিশনের দফতরে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।