কলকাতা: হাতে সংবিধান, SIR বিরোধিতায় রাজপথে মমতা-অভিষেক। এদিকে আজ পাল্টা মিছিল শুভেন্দু অধিকারীর। আজই হাইকোর্টের অনুমতিতে সোদপুরে শুভেন্দুর ‍র‍্যালি শুরু হয়েছে। সেই মিছিল থেকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাড়ি বাড়ি BLO, 'ইলেকশন কমিশনের সফটওয়ার বাউন্স করবে, যদি কেউ লেখেন..', CEO দফতরে কী বার্তা শুভেন্দুর ?

শুভেন্দু বলেন, 'এটাই সময়ের ডাক। এরা এসআইআর ভন্ডুল করতে চায়। আমরা বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী, তাঁদেরকে সরিয়ে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা চাই। ভারতীয়দের পক্ষে মিছিল।ইলেকশন কমিশনকে সম্মান জানিয়ে মিছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামাতিদের নিয়ে মিছিল।'  গত মঙ্গলবারই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা প্রদীপ করের দেহ! অভিযোগ, NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা মঙ্গলবার পানিহাটির পার্শ্ববর্তী আগরপাড়ায় মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

Continues below advertisement

এ নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা! সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।বুধবার পূর্ব বর্ধমানেও বিজেপির মিছিলে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর দুপুর ২ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত করা যাবে মিছিল। বড় নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত দেওয়া হয় মিছিলের অনুমতি। সর্বোচ্চ ৮ হাজার লোক নিয়ে মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে পারবেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

প্রশ্ন : আপনি এখানে মিছিল করছেন, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায়, আপনি যখন এসআইআর এর পক্ষে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ....

শুভেন্দু অধিকারী : এগুলি আটকাতে একটু আগেও কোর্টে লড়াই করেছেন, ভয় পাচ্ছেন কেন ? ওনার মিছিলে অধিকাংশরাই জামাতিরা হাঁটছেন, বসিরহাট -স্বরূপনগর-হাড়োয়া বিভিন্ন জায়গা থেকে বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রেশকারীদের নিয়ে এসেছেন উনি। (নিজের মিছিলের দিকে দেখিয়ে) এই মিছিলে True Indian রা আছেন, দেশ প্রেমিকরা আছেন।'

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে SIR-কে সামনের দিকে তুলে এনে বাংলার যেটা প্রকৃত ইস্যু,  সেই ইস্যুগুলোকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া। আমি আগেও বলেছি ২৬ হাজারের চাকরি চলে যাওয়া, প্রায় ৩ হাজার মতো গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি দিয়েছিল, এই সমস্ত জিনিস থেকে দৃষ্টি ঘোরানো, চাকরি নেই, FDI গোটা ভারতবর্ষে যখন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হচ্ছে তখন পশ্চিমবঙ্গের FDI হচ্ছে পয়েন্ট সিক্স ওয়ান। একের পর এক ধর্ষণ, নারীরা অসুরক্ষিত- এই সমস্ত কিছু থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য SIR-কে ওপরে তোলা হচ্ছে, SIR-কে ইস্যু বানানো হচ্ছে।'