রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে, বছরের শেষ দিনগুলিতে থিকথিকে ভিড় চোখে পড়েছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। ভয়ঙ্কর হারে করোনার গ্রাফ উঠতে থাকায়, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও রাশ টানল রাজ্য সরকার। আজ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্র। লাটাগুড়ির গরুমারা জাতীয় উদ্যান, মূর্তি, চাপড়ামারির জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ।
বড়দিন ও নতুন বছরে পর্যটকদের ঢল নামে ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় পর্যটকদের মন খারাপ হলেও, করোনা রুখতে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। অতিমারীর ধাক্কা কাটিয়ে গত অক্টোবর থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল তরাই-ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা। রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায়, পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছেন বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। যদিও করোনা আবহে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন :
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠের দরজা
রাজ্যে চিড়িয়াখানা, বিনোদন পার্ক-সহ বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্র। সরকারি নির্দেশিকা জারি হতেই, এদিন চিড়িয়াখানায় প্রচার শুরু হয়ে যায়। সংক্রমণ রুখতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ফের কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে নবান্ন। আর এই পরিস্থিতিতেই ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা, যা চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছর করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন সেভাবে হয়নি। কাজেই এবছর আরও বেশি সংখ্যক তীর্থযাত্রী আসার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকদের একাংশ। রবিবারই লোকাল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নবান্ন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। এদিকে গঙ্গাসাগরে আসা ৯০ শতাংশ পুণ্যার্থীই আসেন প্রধানত লোকাল ট্রেনে। সেক্ষেত্রে কী বিশেষ কোনও ভাবনা-চিন্তা রয়েছে সরকারের? উঠছে প্রশ্ন ।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৬ হাজার। মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়ার ব্লক উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। সংক্রমিত কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়।