আবির দত্ত, কলকাতা: বেঙ্গালুরু কাফেতে বিস্ফোরণ ঘটায় আইসিসের আলহিন্দ মডিউল, অনুমান এনআইএ-র (NIA On Bengaluru Cafe Blast Arrest)। ২০২০ সাল থেকে গ্রেফতার হয়েছে আরাফত আলি, মাজ মুনের, মহম্মদ ইয়াসিন, মহম্মদ শরিক নামে এই জঙ্গি সংগঠনের একের পর এক সদস্য়। তারপরেই অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আইসিস, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ধৃত আবদুল। ধৃতদের সঙ্গে সিরিয়ার আইসিস জঙ্গিদের যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও অনুমান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে সোশাল মিডিয়ায় কম ক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি বিস্ফোরক তৈরি শিখেছিল ধৃতেরা। তবে তারা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা জানতে চায় এনআইএ।
যা জানা গেল...
এনআইএ আধিকারিকদের প্রশ্ন, স্বল্প তীব্রতার আইইডি ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরণ যা কিনা বেঙ্গালুরু কাফেতে হয়েছিল, তা কোথা থেকে শিখল ধৃতরা? কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের ধারণা, সোশ্য়াল মিডিয়া বা অন্যান্য গ্রুপের মাধ্যমে কোথাও যোগাযোগ রাখতে পারে ধৃতরা। সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কম ক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি বিস্ফোরক তৈরির বিষয়টি শিখে থাকতে পারে তারা, এমনই ধারণা এনআইএ-র। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের ধারণা, মহম্মদ ইয়াসির মাজ মুনের নামে ওই ব্যক্তি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। অন্য দিকে, ধৃতদের অন্যতম আব্দুল মতিন ত্বহা বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিল যে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাচ্ছে। এই দলে আরও কেউ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নিয়ে গিয়ে ঘটনাক্রম পুনর্নির্মাণও করা হবে বলে খবর। সঙ্গে এও জানার চেষ্টা করা হবে যে তাদের সঙ্গে আর কেউ বা কারা জড়িত রয়েছে কিনা।
অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য...
শিলিগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এদিনও বিষয়টি নিয়ে একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। বলেছেন, 'এক-আধটা নয়, এরকম অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গের সরকার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছে। দেশবিরোধী সমস্ত শক্তি, নারী-নির্যাতনে জড়িত বা দুর্নীতিগ্রস্ত ---এদের সকলেই পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের তলায় আশ্রয় পেয়ে থাকে। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটছে?' প্রসঙ্গত, দিনতিনেক আগেই বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ সন্দেহভাজন গ্রেফতার করা হয় বাংলা থেকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA ওই দুজনকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই ওই ঘটনায় কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন:'ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরিতে টাকা দিতে অনুমতি দিয়েছে কমিশন', দাবি শুভেন্দুর