নয়াদিল্লি: কলকাতার ছায়া এবার বেঙ্গালুরুতেও। অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হল ট্রলি থেকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুতে। জানা গিয়েছে রেল লাইনের পাশে একটি নীল রঙের ট্রলি থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

ট্রলি থেকে দেহ উদ্ধার: বেঙ্গালুরুর আনেকাল ওল্ড চাঁদপুরা রেল ব্রিজের কাছে একটি ট্রলিতে ১৮ বছর বয়সী এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম পরিচয় জানা যায়নি। সূর্য নগর থানার আনেকাল এলাকায় দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। অন্য কোথাও খুন করে দেহ ভরা হয়েছে ট্রলিতে। পুলিশের অনুমান, দেহ লোপাটের জন্য চলন্ত ট্রেন থেকেই সম্ভবত ওই ট্রলিটি ছুড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাইয়াপ্পানাহল্লি রেলওয়ে পুলিশও এই তদন্তের ভার নেবে। ওই ট্রলিটিও পরীক্ষা করা হবে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সিকে বাবা জানিয়েছেন, রেলের কোনও এলাকা থেকে সম্ভবত ট্রলিটি ছুড়ে ফেলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেটা চলন্ত ট্রেন। সাধারণত এই ধরনের ঘটনা রেল পুলিশের আওতায় পড়ে। তবে আমাদের এলাকা বলে আমরাও তদন্তের মধ্যে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। কোনও পরিচয় পত্র বা তাঁর অন্য কোনও সরঞ্জামও মেলেনি।''

গত মাসেই বাগুইআটিতে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বাগুইআটির প্রতিবেশী পাড়ার ঘটনার কিনারা করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহিলার নাম রিয়া ধর। দুই সন্তানের মা তিরিশ বছরের রিয়ার শ্বশুরবাড়ি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল দুপুরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রিয়া ধরকে। পরের দিন সকালে বাগুইআটির প্রতিবেশী পাড়ায় নর্দমার ধারে পড়ে থাকা একটি ট্রলি থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসাতের বাড়িতেই রিয়াকে খুন করেন তাঁর প্রেমিক কৌশিক প্রামাণিক। ট্রলিতে ভরে দেহ এনে ফেলা হয় বাগুইআটিতে। ফেসবুকে ৩ মাস আগে বারাসাতের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিকের সঙ্গে পরিচয় হয় নবগ্রামের রিয়া ধরের। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার ১৫ দিন আগে স্বামী অমিতকুমার ধর ও সন্তানকে ছেড়ে নবগ্রাম থেকে বারাসাতে চলে আসেন রিয়া। নবগ্রাম থানায় মিসিং ডায়ের দায়ের করেন তরুণীর স্বামী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পালিয়ে আসার সময় সঙ্গে সোনার গয়না ও টাকা নিয়ে এসেছিলেন তরুণী। কৌশিক তা হাতিয়ে নেওয়ার পর আর সম্পর্ক রাখতে চাইছিলেন না। বিয়ের জন্য জোরাজুরি করাতেই তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।