বহরমপুর: বহরমপুরে ছাত্রী খুনে প্রাক্তন প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড। সুতপা খুনে সুশান্ত চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ২ মে, ২০২২: মেসের সামনেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে ছাত্রীকে খুন । মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতে বৈদ্যুতিন তথ্য প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজের সূত্রে দোষী সাব্যস্ত হয় প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। 'বিরলতম অপরাধ', মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এদিন এমনটাই জানাল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।
দোষী সাব্যস্ত সুশান্ত চৌধুরী: বহরপুরপুরে ছাত্রীকে (Berhampore College Student Murder) কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গত ২৯ অগাস্ট দোষী সাব্যস্ত হয় ছাত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক। আজ বৃহস্পতিবার তার রায়দান করেছে আদালত। গত বছর অর্থাৎ ২০২২-এর ২ মে, মেসের সামনেই কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী (Sutapa Chowdhury Murder) নামে ওই ছাত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পুলিশের অভিযোগ, রীতিমতো ছক কষে সুতপাকে খুন করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই প্রথমে দোষী সাব্যস্ত হয় সুশান্ত এবং তারপর আজ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
ঠিক কী ঘটেছিল ওই দিন?
গত বছর মে মাসের ঘটনা হাড় হিম করে দিয়েছিল দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছিল, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় সুতপা চৌধুরীকে নারকীয়ভাবে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত। ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুশান্তকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বহরমপুরের গোরাবাজারের একটি মেসের সামনে। সেখানেই থাকতেন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী।
পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা সুতপার সঙ্গে পুখুরিয়ার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২ মে ঘটনার দিন, সন্ধে নাগাদ শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটান তাঁর প্রেমিক। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, তাঁকে অনুসরণ করছে সুশান্ত! তার পর, সুযোগ বুঝে মেসের দরজার সামনেই তরুণীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এরপর অভিযুক্তকে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছিল, সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত। এলাকার একটি বাড়ির পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখেছিল সে। খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। এরপরেই কার্যত তোলপাড় ফেলে দেয় ছাত্রীখুনের হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড। বছরঘুরে দোষীর মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।