রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: জেলের মধ্যেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্দির! বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে মাদক মামলায় অভিযুক্ত দুই বন্দির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। ওই দুই বন্দির বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে।
জেল সূত্রে খবর, বুধবার রুটিন তল্লাশির সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন দুটি পাওয়া যায়। পুলিশ মোবাইল ফোন দুটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি রয়েছেন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় সাজাপাত্র জঙ্গি তারিকুল ইসলাম। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জেলের ভিতরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বন্দিদের হাতে কীভাবে মোবাইল ফোন পৌঁছল? তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশের STF। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এর আগে অন্য একটি মামলায় বহরমপুর জেলে বন্দি ছিল আব্বাস আলি।
আরও পড়ুন, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কাঁপল এলাকা! রিল বানানোর নেশায় উড়ল গোটা বাড়ি, চতুর্দিকে গ্যাসের গন্ধ
অসম পুলিশ সূত্রে দাবি, আব্বাসকে জেরা করে জানা যায়, বহরমপুর জেলে থাকার সময় আব্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় খাগড়গড়কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সাদিক ওরফে তারিকুল ইসলামের। অসম পুলিশ সূত্রে দাবি, বহরমপুর জেলে থাকার সময় এই কুখ্যাত জঙ্গির সঙ্গে, নিয়মিত কথাবার্তা হত ধৃত ABT জঙ্গি আব্বাস আলির।
গোয়েন্দাদের অনুমান, পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা ভারতে আনসারুল্লা টিমের সক্রিয়তা কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে আরও স্লিপার সেল তৈরি করা যায়, জেলে আব্বাসকে সেইসব টিপস দিত খাগড়াগড়কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সাদিক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে