মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের 'সাজা'। চন্দন, মিষ্টি নিয়ে রাস্তায় আটাকানো হল তাঁদের। ভাইফোঁটার সকালে অভিনব উদ্যোগ আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের ট্রাফিক পুলিশের।
অভিনব সাজা দুর্গাপুরে: শহরের রাস্তায় হঠাৎ শোনা গেল উলুধ্বনির সঙ্গে শঙ্খধ্বনি। হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের আটকানো হল। তারপরেই কপালে চন্দন ফোঁটা দিলেন ওঁরা। দূর্বা দিয়ে করলেন আশীর্বাদ। দীর্ঘায়ু কামনা করে পরিয়ে দেওয়া হল হেলমেট। খাওয়ানো হল মিষ্টি। ভাইফোঁটার সকালে দুর্গাপুরের ভগৎ সিংহ মোড়ে মহিলা ট্রাফিক কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের অভিনব সাজা দিল দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ।
দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক বিনয় লায়েক বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই আসানসোল দুর্গাপুর জুড়েও হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। সেই দুর্ঘটনা রোধ করতে রাজ্য প্রশাসন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মানুষের সচেতন করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তারই একটি অঙ্গ হিসাবে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার সকাল থেকে হেলমেট বিহীন চালকদের ভাইফোঁটার মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। সাব ট্রাফিক গার্ডের মহিলা কর্মীরা হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের কপালে চন্দন আর দূর্বা ঘাস দিয়ে আশীর্বাদ করেন। তাঁদের দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করে একটি করে হেলমেট পড়ানো হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক বাইক চালক বলেন, "ভাইফোঁটার সকালে হেলমেট পরিয়ে ভাল থাকার পরামর্শ দিলেন ট্রাফিকের আধিকারিকরা আর মহিলা পুলিশ ও সিভিক কর্মীরা।''
এদিকে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে এদিন ভাই ফোঁটার পার্বণে সামিল হয়েছেন রাজনীতিকরাও। ভাইফোঁটার দিন মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেন, 'বোনেদের অসম্মান হলে প্রতিবাদে গর্জে উঠব।' এদিন নিজের পাড়ায় চেতলা অগ্রণী ক্লাবে এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে ফোঁটা নিলেন মন্ত্রী। উপহার যেমন নিলেন, তেমনই দিলেনও। আদতে পূর্ববঙ্গের বলে তাঁর বাড়ির ফোঁটা হয় প্রতিপদে। এদিন এলাকার মহিলারা তাঁকে ফোঁটা দেন। ফিরহাদের স্মৃতিতে ভাইফোঁটা মানে পায়েস খাওয়া। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও যাবেন বলে জানান মেয়র।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: SSKM Hospital: রাতভর SSKM-এ স্ট্রেচারে পড়ে রোগী, অস্ত্রোপচারের জন্য ২ সপ্তাহ পর সময় দিল হাসপাতাল