রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : এ এক নতুন দিদি । যিনি সন্তানকে হারিয়েও, ভাইকে জেতাতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেই রেণুকা মাড্ডির কাছে ফের ভাইফোঁটা নিলেন অধীর চৌধুরী। ভাই-বোনের চিরন্তন সম্পর্কের ছবি বহরমপুরের মাজদিয়াপুরে।


প্রতি নমস্কারে পরস্পরকে সম্মান জানানো। দিদির বাড়িতে ঢোকার পর কত যত্ন-আত্তি ! ভাইয়ের হাতে পান, কলা, ডাব ধরানোর পর বেজে উঠল শঙ্খধ্বনি। ভালবাসার টানে, ভাইফোঁটার সকালে ফের দিদির কাছে এলেন অধীর চৌধুরী। ভাইকে পেয়ে বহরমপুরের মাজদিয়াপুরে রেণুকা মাড্ডির বাড়ি যেন গমগম করে উঠল।


আরও পড়ুন ; ভাইফোঁটায় শুভশ্রীর হাতে ফোঁটা নিলেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়


গত লোকসভা ভোটের সময় বছর ২৫-এর মেজ ছেলে রজতকে হারান রেণুকা। ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর পরই, ভোটকেন্দ্রে চলে গেছিলেন মা। সন্তান হারিয়েও, ভাই অধীরকে জেতাতে ভোট দিয়েছিলেন রেণুকা। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, সেই থেকেই ভাই-বোন। তা পূর্ণতা পায় ভাইফোঁটায়। 


আরও পড়ুন ; আসানসোলে আদিবাসী ভাইদের ফোঁটা দিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মহিলাদের হাতে তুলে দিলেন শাড়ি-চাদর


বহরমপুরের বাসিন্দা রেণুকা মাড্ডি বলেন, "আমার সৌভাগ্য এত বড় দাদাকে কাছে পেয়েছি। যতদিন পারব ফোঁটা দিয়ে যাব। বাড়ির জায়গা কিনেছিলাম তা নিয়ে মামলা হয়। দাদার কাছে গিয়ে এককথায় হয়ে যায়। দাদা না হলে এবাড়ি হত না।"


এতদিন ভাইফোঁটায় কান্দিতে যেতেন অধীর চৌধুরী। গত বছর থেকে তাঁর জীবনে আসেন আরও এক দিদি। অধীর চৌধুরী বলেন, "দিদির ডাকে সাড়া দিয়ে আসি। এর মধ্যে ভালোলাগা, শ্রদ্ধা, সম্মান, আবেগ, অনুভূতি আছে। শুধু দায়িত্ব পালন করতে নয়, আসতে ভালোলাগে।"


আরও পড়ুন ; শোভাবাজারে দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে ভাই ফোঁটা নিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক মদন মিত্র ও দেবাশিস কুমার


হাতে সময় কম থাকায় এবার অবশ্য ভুরিভোজ হয়নি। মিষ্টিমুখ করেই দিদির বাড়ি ছাড়েন অধীর।