হিন্দোল দে, ভাঙড়: গতকালের পর আজ ফের উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar)। ভাঙড় থেকে ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) উদ্ধার। তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) বাড়ির অদূরে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ভাঙড়ে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৩। ধৃত ৩ জনই তাঁদের দলের কর্মী, দাবি আইএসএফের (ISF)। অন্যদিকে, ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র, দাবি পুলিশের (Police)। 


এদিকে, ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনকে গ্রেফতার করল লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের লালবাজারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ভাইরাল হওয়া ফুটেজ দেখে ৪৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়। অশান্তি, ভাঙচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃত আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে।


গতকাল ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। পুলিশের সামনেই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় দুই দল! ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, এমনকি গুলি চলার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশাপাশি ভাঙচুর হয়েছে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়িতেও।  অন্যদিকে ধর্মতলায় আইএসএফ-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ গ্রেফতার ১৯। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা কলকাতা পুলিশের।


আরও পড়ুন, 'তৃণমূলের ভোট কাটছে, তাই গায়ের জোরে আইএসএফ-কে আটকানোর চেষ্টা', তোপ দিলীপের


শনিবার দিনটা যে অশান্ত হতে চলেছে, সেটা বোঝা গেছিল সকাল থেকেই! শনিবার ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানো নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত। ISF- এর অভিযোগ, ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে পতাকা লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।                                                              


তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময়, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের গালিগালাজ ও মারধর করেন ISF'এর সদস্যরা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে।