কলকাতা: ভাঙড়কাণ্ডে (Bhangar Incident) চক্রান্তের অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরব মমতা (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'হতেই পারে এটা পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) পরিকল্পনা বলেই ওরা আগে খবর পেয়েছে। এভাবে তৃণমূলকে (TMC) অপদস্থ করতে চাইছে'। আর এরপরেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, 'সারারাত নথি জ্বলছে অথচ পুলিশ জানতে পারল না, কিন্তু সিবিআই পৌঁছে গেল। কার ব্যর্থতা ?' 


মূলত ভাঙড়ে নথি ধ্বংস, প্রকাশ্যে আসে গতকাল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভাঙড়ে ছাই ঘেঁটে উদ্ধার হয় মাইনিং ব্যবসা সংক্রান্ত নথি। পোড়ানো হয়েছে  বিহারের একাধিক এলাকার মাইনিং ব্যবসা সংক্রান্ত নথি বলে খবর আসে। মাইনিং সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন কয়লাকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমার। ঘটনাস্থলে রয়েছেন এসএসসি দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিকরাও। যদিও পোড়া নথি থেকে এখনও মেলেনি এসএসসি-দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য। কারা পোড়ালো নথি? জমির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, খবর সূত্রের।       


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধরপাকড়ের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paragana) ভাঙড়ে (Bhangar) পোড়ানো হল নথি। ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে নথি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি (Govt) নথি (Document) পোড়ানোর অভিযোগ। বিশাল এলাকা জুড়ে পুড়ছে নথি? রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাস্থলে গেছে সিবিআই (CBI)। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, উঠছে প্রশ্ন।  জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের আধিকারিক দল যখনই খোঁজ পেয়েছেন যে এখানে নথি পুড়ছে দু'দিন ধরে তখনই তাঁরা সেখানে যান। এরপর যে নথিগুলো আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছে, সেগুলি তাঁরা সংগ্রহ করেন। এমনকি তাঁরা জল দিয়ে চেষ্টা করছেন আগুন যতটা নিভিয়ে নথি বাঁচানো যায়। এমনকি মাঠের মাটি দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা।      


আরও পড়ুন, 'ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা', মমতাকে পাল্টা শুভেন্দু         


মূলত গতকাল সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় পাঁচিল ঘেরা মাঠের মধ্যে দাউদাউ করে বেশ কিছু কাগজ জ্বলতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। কী কারণে নথি পোড়ানো হচ্ছিল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। অন্যদিকে, সিবিআই আধিকারিকদের কাছে নিরাপত্তারক্ষীরা গৌতম মণ্ডলের নাম করেন। জানা যায়, তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। যদিও সিবিআইয়ের কাছে ওই নেতা দাবি করেন, তিনি  জমির মালিক নন।