কলকাতা: শাহ-কে ফোন করা প্রসঙ্গে মমতার নবান্নের বৈঠকের পরেই ট্যুইটে তোপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মূলত, এদিন নবান্নের বৈঠকে মমতা বলেন,  'বিজেপির ভুঁইফোড় নেতা সর্বসমক্ষে বলেছেন, জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার পর ওদের বড় নেতা শাহজিকে চারবার ফোন করেছি', নাম না করে শুভেন্দুকে এদিন কড়া আক্রমণ করেন মমতা। যদিও মমতার বার্তার ক্ষণিকের মধ্যেই এদিন ট্যুইটে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বিরোধী দলনেতা।


শুভেন্দু এদিন ট্য়ুইটে বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। ল্যান্ডলাইন থেকে দিল্লিতে ফোন করা হয়েছিল। যথাসময়ে সব ফাঁস করব। কাল যথাযোগ্য জবাব দেব।' মূলত ইস্যুটি শাহ-কে ফোন করা নিয়ে। এনিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, 'মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিজেপি। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির ভুঁইফোড় নেতা সর্বসমক্ষে বলেছেন, জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার পর ওদের বড় নেতা শাহজিকে চারবার ফোন করেছি', নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে এদিন কড়া আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 






প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুরে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। তারপরই তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ৭ বছরের মাথায় এই তকমা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এদিন এই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, 'নির্বাচন কমিশনকেও ওরা নিয়ন্ত্রণ করবে ?' এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন,' আমাদের দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের দলের নাম একই থাকবে।'


আরও পড়ুন, 'দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসই থাকবে', স্পষ্ট বার্তা মমতার 


মূলত ৪টি রাজ্যে, এতদিন রাজ্যদলের মর্যাদা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে রাজ্যদলের তকমা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে জাতীয় দলের তকমা যাওয়ার তালিকায় শুধু তৃণমূল নয়, পাশাপাশি জাতীয় দলের মর্যাদা হারায় সিপিআই, এনসিপি-ও। দিল্লির পরে পঞ্জাবে সরকার গড়ে তালিকায় আসে আপ। ৪টি রাজ্যে, এখন রাজ্যদলের তকমা পেয়ে জাতীয় দলের তকমা পায় কেজরিওয়ালের দল।