কলকাতা: দেড় দিন পার। ভবানীপুরের (bhawanipur) মতো হাই সিকিউরিটি জোনেও গুজরাতি (Gujrat) দম্পতি খুনে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। জোড়া খুনের পিছনে পরিচিত কেউ এবং আততায়ীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ব্যবসায়ী অশোক শা-র দেহে ৬ থেকে ৭টি ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে বলে অনুমান।
স্ত্রী রশ্মিতার মাথার পিছনে একটিই গুলির ক্ষত। আঘাতের ধরন দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, শুধুমাত্র লুঠের উদ্দেশ্য নয়, পুরনো আক্রোশ থেকেই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ব্যবসায়িক শত্রুতা, নাকি অন্য কিছু, আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পাশাপাশি, নজর ঘোরাতে ব্যবসায়ী দম্পতির বাড়িতে লুঠপাট চালানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
ভবানীপুরের (bhawanipur) হরিশ মুখার্জি রোডে (Harish Mukherjee Road) ব্যবসায়ী দম্পতি খুনে পুলিশের মূল হাতিয়ার সিসি ক্যামেরা। সূত্রের খবর, প্রায় ১০০-টির ওপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, রেকি করেই শাহ দম্পতির বাড়িতে হানা দিয়েছিল আততায়ীরা। ফুটেজে বেশ কয়েকজনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিচিত কেউ রয়েছে কিনা জানতে শাহ দম্পতির আত্মীয়দের দেখানো হচ্ছে ফুটেজ।
আরও পড়ুন: KMC Job Fraud : কলকাতা পুরসভায় 'চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ', লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়া গেল চাকরিপ্রার্থীর
গত সোমবার ভবানীপুরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গুজরাতি দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ! গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের! প্রতিবেশীদের দাবি, তার মধ্যেই আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বড়বাজারের মেহতা বিল্ডিংয়ে দোকান ছিল অশোক শাহর। কয়েক বছর আগে তা বিক্রি করে দেন তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, সম্প্রতি ভবানীপুরের ফ্ল্যাটও বিক্রির চেষ্টা করছিলেন নিহত অশোক শাহ। তাহলে কি তিনি আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন? তদন্তে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সোমবার সস্ত্রীক খুন হন অশোক শাহ। তার দু’দিন আগে মেহতা বিল্ডিংয়ে এসেছিলেন তিনি।