কলকাতা:  হাওড়া স্টেশনমুখী ভুবনেশ্বর হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ কটক স্টেশনে ঢোকার সময় কোচের নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। লোকো পাইলটের নজরে আসে ডি নাইন কোচের নিচ থেকে গল গল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কটক স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে স্টেশনমাস্টারকে খবর দেওয়া হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন রেলকর্মীরা। মিনিট পনেরোর মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ওই কোচের ব্রেক শু আটকে যাওয়ার ফলে এই ঘটনা।  ৪৫ মিনিট পর ট্রেনটি হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।


মিনিট ১৫ এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ৪৫ মিনিট পর ট্রেনটি সকাল ৭:১৫ নাগাদ হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেনের প্রত্যেকটি যাত্রী নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 


সম্প্রতি একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা, এক নজরে- 


১৫ নভেম্বর বিহারগামী দিল্লি-দ্বারভাঙা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলে ট্রেনের ৩টি কামরা। অল্পের জন্য় প্রাণে রক্ষা পান যাত্রীরা। ৮ জন যাত্রী আহত হন। 


১৫ নভেম্বর বীরভূমে চলন্ত ট্রেনে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। আমোদপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে হাওড়াগামী মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ডি থ্রি কামরায় ধোঁয়া দেখা যায়। মিনিট পনেরো দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। মেরামতির পর ফের হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। 


১৩ নভেম্বর আপ শালিমার-পুরী এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। আন্দুল স্টেশন পার হওয়ার পরই ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। রেল কর্মী ও স্থানীয়রাই আগুন নেভান। আধঘণ্টা পর ট্রেনটি ফের পুরীর উদ্দেশে রওনা হয়। 


২৫ অক্টোবর আগরা থেকে ঝাঁসিগামী পাতালকোট এক্সপ্রেসের ২টি বগিতে আগুন লাগে। আগুনে ঝলসে জখম হন ২ জন যাত্রী। কোনওমতে ট্রেন থেকে নামানো হয় যাত্রীদের।


২৫ সেপ্টেম্বর বোলপুরের প্রান্তিক স্টেশনে মুজাফ্ফরপুর-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। ট্রেনটির ডি-২ কামরায় ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কোপাই স্টেশন পেরোনোর পরেই ধোঁয়া দেখে চেন টেনে ট্রেন থামান যাত্রীরা। ধরমতলায় ট্রেন থামার পর হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হন কয়েক জন যাত্রী।


আরও পড়ুন, কনকনে শীতের মধ্যেই বৃষ্টি দুর্যোগ উত্তরবঙ্গে, কোন কোন জেলায় বাড়তি সতর্কতা?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে