নয়াদিল্লি: আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের (US Shooting) হামলা। লাস ভেগাসের নেভাদা বিশ্ববিদ্য়ালয়ে (University Of Nevada Las Vegas Shooting) বন্দুকবাজের হামলায় ৩ জন নাগরিকের মৃত্য়ু হয়েছে। লাস ভেগাস পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত হয়েছে হামলাকারীও। গুলিবিদ্ধ একজন নাগরিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলাকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কী কারণে হামলা তাও স্পষ্ট নয়। বুধবার লাস ভেগাসে নেভাদা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রধান ক্য়াম্পাসে হামলা চালায় ওই বন্দুকবাজ।


যে পথে ঘটনা...
স্থানীয় সময়, রাত পৌনে বারোটা। হঠাৎ, লাস ভেগাস প্রশাসনের কাছে জরুরি ফোন, নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের লি বিজনেস সেন্টারের কাছে 'বিম হল'-এ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক বন্দুকবাজ। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। পাশাপাশি, পড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়। ১২টা ৩৭ মিনিটে পুলিশ জানায়, সম্ভবত বন্দুকবাজ মারা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বন্দুকবাজ হিসেবে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে তার নাম-পরিচয় জানতে পারলেও যত ক্ষণ পর্যন্ত তার আত্মীয়ের কাছে খবর না পৌছনো হচ্ছে, সে নিয়ে কোনও কথা বলবে প্রশাসন। যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে একাংশের ধারণা, বন্দুকবাজ সম্ভবত ৬৭ বছরের এক প্রাক্তন অধ্যাপক। জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার যোগ থাকলেও সঙ্গে নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী সম্পর্ক, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত, আগামী চলতি সপ্তাহের বাকি সময়টা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লাস ভেগাস হ্যারি রিড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল পরিষেবা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই লাস ভেগাসেই একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে গুলি চালিয়ে অন্তত ৬০ জনকে খুন করে এক বন্দুকবাজ। মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর বন্দুকবাজের হামলা হয়েছিল সেখানে।  
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লাস ভেগাসের এই ঘটনা ও টেক্সাসে বন্দুকবাজের হামলা, দুটিতেই আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সে সঙ্গে রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাঁর আর্জি, এবার মার্কিন কংগ্রেসে আগ্নেয়াস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে প্রস্তাব পাশ করুন তাঁরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই ছোট-বড় মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮০টি বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিক ভাবেই, বিষয়টি স্বস্তির নয় প্রশাসনের পক্ষে। কিন্তু এই সমস্যা যে স্রেফ এই বছরের, তাও নয়। এত দিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সরব সেখানকার মানুষ তথা রাজনীতিবিদদের একাংশ। তবে অন্য অংশের স্বরও কম জোরালো নয়। তাই কি বার বার এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে চলেছে? 


 


আরও পড়ুন:চিনে সংক্রমণ-বিপদ! বিমান চলাচলে কি লাগাম টানবে ভারত?