পূর্ব মেদিনীপুর: গতকাল NIA-র তৃতীয় তলবেও সাড়া দেননি ভূপতিনগরের শাসক নেতারা। আর এবার ভূপতিনগরে হামলার ঘটনায় এবার NIA-কে নোটিস পাঠাল পুলিশ। অভিযোগকারী NIA আধিকারিক ও যে আধিকারিক আহত হন, তাঁদের ১১ এপ্রিলের মধ্যে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, NIA আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ওইদিন কী ঘটেছিল। এছাড়াও, আহত NIA আধিকারিকের মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ বেশ কিছু নথিও আনতে বলেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর জন্য NIA-র ভাঙা গাড়িও আনতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, হামলার ঘটনার তদন্তে ৩ জন গ্রামবাসীকেও নোটিস দিয়েছে পুলিশ। ৩ দিনের মধ্যে তাঁদের ভূপতিনগর থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
'ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত এবং তাদের সহযোগীদের সাধারণ মানুষকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। যা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, সিটি সেশনস কোর্টের বিশেষ আদালতে জানিয়েছে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অভিযুক্তদের কল ডিটেলস রেকর্ড থেকেও প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। বিস্ফোরণে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আদালতে জানিয়েছে এনআইএ।
২০২২-এর দোসরা ডিসেম্বর ভূপতিনগরে তৃণমূলের তৎকালীন বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। ধূলিসাৎ হয়ে যায় তৃণমূল নেতার আস্ত বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। রহস্য বাড়িয়ে বিস্ফোরণস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। আশেপাশে আরও ২ তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২০২৩-এর ২১ মার্চ, এই মামলায় বিস্ফোরক আইন যোগ করতে বলে আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে NIA এই মামলার তদন্ত করতে পারে। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে শনিবার ভোররাতে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA-কে।ভাঙা হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ির কাচ।আর সেই ঘটনার জন্য এদিন বাঁকুড়ার জনসভা থেকে, ফের NIA-কেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, CAA, NRC নিয়ে পোস্টার আমডাঙায়, বিতর্কে জড়ালেন অজুন-পার্থ
মমতা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। পুলিশকে না জানিয়ে, তোমরা রাত ৩টের সময় গিয়ে মহিলাদের উপর হামলা চালাও, আর ভোর পাঁচটায় পুলিশকে জানায়। এটা কোনও নিয়ম হল? এটা কি কখনও কিছু হতে পারে মা-ভাই-বোনেরা? হতে পারে? আর হুঙ্কার দিচ্ছেন! আপনার হুঙ্কার আপনার দলকে চাঙ্গা করার জন্য দিন, আপনার হুঙ্কার আপনার দলকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য দিন। কিন্তু মনে রাখবেন, গণতন্ত্রের জন্য ওটা কার্বন-ডাই অক্সাইড, ওটা নাইট্রোজেন। ওটা ভোটে কাজ করে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।