কলকাতা: দলের অন্য সব কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন আগেই। তবে বামফ্রন্টের (Left Front) চেয়ারম্যান থাকছেন বিমান বসুই (Biman Bose)। সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। বুধবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
বিমানই বামফ্রন্টের নেতৃত্বে
সূত্রের খবর, গোড়া থেকেই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদে ৮৩ বছরে পা দেওয়া বিমান বসুকেই রাখার দাবি করেছিল শরিক দলগুলি। সূত্রের খবর, বিমান বসু নিজে খুব একটা রাজি ছিলেন না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত তাঁকে রাজি করানো সম্ভব হয়েছে।
এ দিকে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া রাজ্য কমিটির বৈঠকে জেলাভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিপিএম এবং শরিক সব পক্ষ তাতে হাজির ছিলেন। সেখানে নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
এর আগে, রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিমান। সেখানে বিজেপি-র কড়া নিন্দা করেন তিনি। হায়দরাবাদে বিজেপি-র জাতীয় কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং অন্য নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। সেখানে আরও ৩০-৪০ বছর ক্ষমতায় থাকার কথআ বলতে শোনা যায় অমিতকে।
হায়দরাবাদে অমিত বলেন, “পরিবারতন্ত্র, জাতপাত এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি সবচেয়ে বড় অভিশাপ। বছরের পর বছর তার জেরে ভুগতে হয়েছে গোটা দেশকে। পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলঙ্গানা এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে। বাংলা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশায় বিজেপি-র সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের স্বার্থে আরও ৩০-৪০ বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে বিজেপি-কে, তবেই ভারত বিশ্বগুরু হয়ে উঠবে।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বামেদের
তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিমান। তিনি বলেন, ""ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই ধরনের কথা বলার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। এই ধরনের কথা বলার যে পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, তাতে যে আগামী দিনে ফ্যাসিবাদী শক্তির পদধ্বনি শোনা যাবে, তা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি আমরা। আগাম এমন কথা কেউ বলতে পারে না। আমেরিকায় আগামী ২০ বছরে কী হবে, তা কি কেউ বলতে পারে!"