কলকাতা: জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে তৃণমূলের (TMC) শক্তিবৃদ্ধি। ঘাসফুলে যোগ বিনয় তামাঙ্গের (Binay Tamang)। যোগ দিলেন ১০ বছরের মোর্চা বিধায়ক রহিত শর্মাও (Rohit Sharma)। আরও শক্তিশালী হবে দল, দাবি তৃণমূলের। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক, মত বিশেষজ্ঞদের।


বিমল গুরুঙ্গের প্রত্যাবর্তনের পর পাহাড়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিনয় তামাঙ্গ। বিনয়ের যোগদানে পাহাড়ে তৃণমূল আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে ধারণা। প্রাক্তন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিধায়ক রহিত শর্মাও যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। 


২০০৭ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্মলগ্নে একসঙ্গে ছিলেন বিমল গুরুঙ্গ ও বিনয় তামাঙ্গ। ১০ বছর একসঙ্গে পথ চলার পর এই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরে ২০১৭-তে। চার বছর আগে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন বিমল গুরুঙ্গ। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়। আর তখনই আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে যায় মোর্চা। তৈরি হয় গুরুঙ্গ শিবির ও তামাঙ্গ শিবির।


এবারের বিধানসভা ভোটে দুই শিবিরই আলাদা করে প্রার্থী দেয় পাহাড়ে। গুরুঙ্গ শিবিরের ঝুলি খালি থাকলেও, কালিম্পং আসনে জয়ী হন তামাঙ্গপন্থী প্রার্থী। এরপর জুলাইয়ে আচমকা দল ছাড়ার ঘোষণা করেন বিনয়। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন খোদ বিনয় তামাঙ্গই। তিনি বলেন, ‘ভোটে হারের জন্য দল ছাড়লাম। ২০১৯ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে আমাকে রাজনীতি থেকে হঠানোর জন্য।’


দলের সভাপতি পদ তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও ছাড়েন বিনয়। ফলে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয়পন্থী মোর্চা বলে আর কিছু নেই। এরপর অগাস্টে বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় তামাঙ্গ। 


এরই মধ্যে বিনয় দল ছাড়ার পর মোর্চার নতুন সভাপতি মনোনীত হন অনীত থাপা। কার্শিয়ঙে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনীত ছিলেন বিনয়-পন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি হয়ে অনীত থাপা বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড আমাদের প্রাথমিক দাবি। এই দাবিকে আমি সম্মান জানাই। নির্বাচনের সময় আমরা এই দাবি জানাইনি কারণ গোর্খাল্যাণ্ড আমাদের মায়ের মতো। মাকে কখনও নিলামে তুলব না। গোর্খাল্যান্ডের নামে কখনও ভোট চাইব না।’


বিনয় তামাঙ্গ আজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পাহাড়ের রাজনীতি অন্যদিকে বাঁক নিল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।