কলকাতা : রথ (Rath ) ও উল্টোরথের (Ulto Rath ) মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পুজো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, যে কোনও বিপদই হরণ করেন মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini Devi Puja ) । এই ব্রত পালন করলে সংসারে বিপদ-আপদ আসে না বলেই বিশ্বাস। সব রকমের বিপদ থেকে দূরে রাখেন মা বিপত্তারিণী, বলে বিশ্বাস। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথিতে যে কোনও শনি বা মঙ্গল বারে এই ব্রত পালন করা হয়।
বিপত্তারিণী মায়ের পুজো শুরু কবে থেকে
পুরাণে কথিত, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভইদের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেবতারা মহাশক্তিশালী মহামায়ার স্তব করেন। সেই সময় শিব-অর্ধাঙ্গিনী পার্বতী সেখানে হাজির হন। দেবতাদের জিজ্ঞাসা করেন, “ তোমরা কার পুজো করছো ”
দেবী নিজেই দেবতাদের পরীক্ষা করার জন্য এই প্রশ্ন করেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারেননি। তখন পার্বতী নিজের রূপ ধরেন, সকলের সামনে আবির্ভূত হন। তিনি এসে বলেন “তোমরা আমারই স্তব করছ। চিনতে পারনি আমায়”
তারপর তিনি ভয়ঙ্কর শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন অনায়াসে। দেবতাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী মায়ের পুজো শুরু। তারপর মর্ত্যলোকে এই পুজোর প্রচলন হয়। বিপদ যিনি তারন করেন, তিনিই বিপত্তারিণী।
পুজোর নিয়মকানুন
বিপত্তারিণী মায়ের পুজোয় ১৩ সংখ্যাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রত পালন করতে লাগে ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি সুপুরি ও ১৩ রকম নৈবেদ্য। এই ব্রত পালনের দিন কেউ কেউ ১৩ টি ছোট ছোট লুচি ভেজে খান। ব্রত পালন করলে চাল বা চালজাত জিনিস নিয়ে তৈরি কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। মুড়ি, ভাত, চিড়ে, থেকে দূরে থাকতে হবে। এদিন মহিলারা আলতা, সিঁদুর পরে পুজো করেন। লাল সুতোয় ১৩টি গিট বেঁধে পুজো হয়। সেই ধাগা হাতে বাঁধা হয় মঙ্গল কামনায়। এদিন পরিবারের সকলেই নিরামিষ খেয়ে থাকেন।