ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: ফের নতুন বছরের বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন রাজ্যের বাসিন্দা। এর আগেও একাধিকবার 'ব্যাঙ্ক থেকে বলছি' বা অন্য কোনও নম্বর থেকে ফোন এলে ওটিপি শেয়ার ইস্যুতে গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে বলেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তথা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। অতীতে প্রতারকরা চোখে ধুলো দিতে ট্রু কলারের সাহায্যও নিয়েছে। ফোন কল এলে গ্রাহকের ফোনে ট্রু কলার ইন্সটল থাকলে দেখাবে ব্যাঙ্কেরই নাম। এতে একটু অসতর্ক হলেই ফাঁদে পড়তে হবে।অতীতে যার শিকার হয়েছেন কলকাতার এক প্রফেসরও। কিন্তু প্রতারণায় যে যবনিকা পড়েনি, তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ ফের প্রকাশ্যে এল। এবার সর্বস্বান্ত হলেন বীরভূমের এক বাসিন্দা। 


ব্যাঙ্ক কেআওইসির নাম করে সিউড়ির এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৮০০০ টাকা উধাও। শুক্রবার সকালে সিউড়ির রামকৃষ্ণ সাহা নামের ওই ব্যবসায়ীর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, তাঁর কেওয়াইসি করা না থাকায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে৷ আর অ্যাকাউন্ট স্বাভাবিক রাখতে গেলে, তাঁর ফোনে আসা ওটিপি জানাতে হবে৷ ওই অচেনা ব্যক্তির কথা বিশ্বাস করে ফোনে আসা ওটিপি জানিয়ে দেন রামকৃষ্ণ। এরপরই দুপুর ১২.০২ এবং ১২.০৫ মিনিটে দুবার তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০০০০ এবং ৬৮০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়৷ জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বুঝে দ্রুত ব্যাঙ্কে যান রামকৃষ্ণ। কিন্তু ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সেখানেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই সিউড়ি সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে লিখিত অভিযোগ জানান রামকৃষ্ণ। সাইবার ক্রাইম থানার তরফ থেকে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন, ইডির 'হেভিওয়েট' হানায় শুভেন্দুকে নিশানা কুণালের, তুললেন প্রশ্ন..


যদিও মে মাসে আরও একটি প্রতারণা ঘটনা ঘটেছিল।ওটিপি (OTP) শেয়ার করেননি। তা পরেও ব্যাঙ্ক প্রতারণার (Bank Fraud) শিকার হতে হয়েছিল, অভিযোগ তুলেছিলেন বারাসাত (Barasat) সেবায়ন প্রতিষ্ঠানের সৌমেন হালদার। তাঁর দাবি ছিল, গত ১২ মে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সৌমেনের সেবায়ন প্রতিষ্ঠানের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৪ হাজার টাকা মুম্বইয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নিজের ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। কিন্তু কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল?  সৌমেনের দাবি, চেক না অনলাইন পেমেন্ট হিস্ট্রিতে ওই টাকা ট্রান্সফার নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই। তিনি অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে গিয়েই বুঝতে পারেন যে ১৩ হাজার ৯০০ টাকা মুম্বইয়ের একটি অ্যাকাউন্টে চলে  গিয়েছে। যুবকের দাবি, তিনি ওই টাকা কাউকে দেননি। তবে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিযোগ দায়েরের পর ব্যাঙ্ক পোর্টালে তা উল্লেখ করলে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।