ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও আবীর ইসলাম, বীরভূম : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কে সিঁধ কেটে চুরির অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুইয়ের মঙ্গলডিহিতে UCO ব্য়াঙ্কের শাখায়। কী কী চুরি হয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
জানালার পাশে ইটের দেওয়াল কেটে তৈরি করা হয়েছে ঘরে ঢোকার সুড়ঙ্গ বা সিঁধ। আর সেই সিঁধ কেটে চোর ঢুকেছে ব্যাংকে ! বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুইয়ের (Parui) মঙ্গলডিহিতে UCO ব্য়াঙ্কের শাখায়। এদিন সকালে ব্যাঙ্ক খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ (Bank Authority) জানিয়েছে, ভল্ট অক্ষত আছে। কী কী চুরি গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিঁধ কেটে ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কোচবিহারের শীতলকুচিতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তৃণমূল (TMC) প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
একটা সময় ছিল, য়খন সিঁধেল চোরদের গল্প মুখে মুখে ঘুরত। সিঁধ কেটে যারা চুরি করে তারা সিঁধেল চোর। সিঁধ কেটে চুরি করা ছিল রীতিমতো শিল্পকর্ম। তাই সাহিত্যে, সিনেমায়, টেলিভিশনে বারবার নজর কেড়েছে ‘সিঁধেল চোর’।
এ পদ্ধতিতে চুরি করা সবচেয়ে কঠিন। সিঁধকাঠি অর্থাৎ শাবল বা খুন্তির মতো জিনিস দিয়ে চোর দেওয়ালে দেওয়ালে গর্ত বা সুড়ঙ্গ করে। এরপর ঘরের ভেতরে ঢুকে চুরি করে। উৎকৃষ্ট সিঁধেল চোর হতে দেহের মাপজোক সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা চাই। যাতে সিঁধের মধ্যে দিয়ে নিজের পুরো শরীর ভেতরে নিয়ে যাওয়া যায়।
পাডুইয়ের ঘটনা প্রমাণ করে দিল, এখনও সেই শিল্পকর্ম ভোলেনি সিঁধেলরা। বোঝা গেল, আধুনিক এই সময়েও টিকে আছে সিঁধকাঠি ও সিঁধেলরা।
আরও পড়ুন- কামদুনির পাশে নির্ভয়ার মা, পরিবারের সঙ্গে দেখা, দাবি ন্যায্য বিচারের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন