বীরভূম: রামপুরহাটকাণ্ডে মৃত আরও ১। হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ নাজেমা বিবির মৃত্যু। গতকাল থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন নাজিমা বিবি। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অগ্নিদগ্ধ নাজেমা বিবি। গতকাল রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাকি তিনজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, খবর হাসপাতাল সূত্রে।
বয়ান রেকর্ড: গতকাল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি থাকা দুই মহিলা ও এক নাবালকের বয়ান রেকর্ড করার কথা ছিল CBI-এর। ঘর-বাড়ি পুড়ে ছারখার! জীবন্ত পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে আটটি প্রাণ। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলেও, অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চারজন। আজ সংখ্যাটা কমে হল ৩। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে রবিবার নাজিমা বিবি ছাড়া বাকি ৩ জনের বয়ান নেয়েছে CBI।
এ দিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। ওই হাসপাতালেই ভর্তি আছেন নাজেমা বিবি। যাঁর শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আতাহারা বিবি, বুলবুলি খাতুন এবং এক নাবালকের। তাঁদের বয়ান নিতে দুই দফায় হাসপাতালে আসেন CBI-এর অফিসাররা। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথমে আসেন দু’জন অফিসার। কিন্তু CBI অফিসাররা যখন এসেছিলেন, তখন ছিলেন না হাসপাতাল সুপার। সূত্রের খবর, এক কর্মী তাঁদের জানান এদিন সুপার আসবেন না। তাই সোমবার আসতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু, তাতে রাজি হননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর হাসপাতালে আসেন সুপার। দুপুর ১টা নাগাদ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন CBI-এর DIG অখিলেশ সিং।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই মহিলা ও এক নাবালকের বয়ান রেকর্ড করেন CBI অফিসাররা। কিন্তু নাজেমা বিবির শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায়, তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ : রামপুরহাটকাণ্ডের (Rampurhat Violence) তদন্তে এবার মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাঁকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের (CBI) অস্থায়ী ক্যাম্পে ডাকা হয়। মিহিলালের দাবি, গতকাল রাতে সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে তাঁরা অন্যত্র যেতে পারছেন না। সিবিআই অফিসাররা বাতাসপুরে এলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।