কলকাতা: দিদির কথায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি নির্দোষ। বগটুইকাণ্ডে (Rampurhat Fire) গ্রেফতার হওয়ার পর এমনটাই দাবি করেছিলেন আনারুল হোসেন। এ বার অগ্নিসংযোগকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন তিনিও। আনারুলের দাবি, গোটাটাই বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে হাজির হওয়ার সময় এমনই দাবি করলেন আনারুল (Anarul Hossain)।


রবিবার থানা থেকে সিবিআই-এর (CBI) অস্থায়ী শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় আনারুলকে। সেখানে আনারুল-সহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। আনারুল এবং আজাদ চৌধুরীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সেখানেই এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় বগটুইকাণ্ডে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আনারুল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে কি না জানেত চাইলে আনারুল বলেন, “ষড়যন্ত্র"। কে ষড়যন্ত্র করেছে, তাতে রাজনৈতিকযোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে তাঁর জবাব ছিল, “বিরোধী দল আছে। কিছু লোক আছে।”


ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর ফোনে আনারুল-আজাদ কথা


সিবিআই সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর আনারুল-আজাদের ফোনে কথা হয়। আজাদের নেতৃত্বেই বগটুই গ্রামে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। তাই ফোনে দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তা জানতে চান গোয়েন্দারা।


রবিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় আনারুল-সহ চার জনকে। প্রথমে আলাদা করে জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে।


এর পর রামপুরহাট হাসপাতালে আক্রান্তদের বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষ করে, দুপুর আড়াইটে নাগাদ শিবিরে পৌঁছন সিবিআই-এর ডিআইজি অখিলেশ সিং। সূত্রের খবর, তাঁর উপস্থিতিতে আনারুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভাদু শেখ খুনের পর তৃণমূল কর্মী আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে তাঁর কী কথা হয়েছিল? আজাদকে প্রশ্ন করা হয়, কাদের নিয়ে তিনি বগটুই গ্রামে ঢুকেছিলেন? দু’জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পুলিশকে কি তাঁরাই খবর দেন? পুলিশ কখন পৌঁছেছিল গ্রামে? সিবিআইয়ের ডিআইজি জানতে চান, কারা কারা খুনের ঘটনায় জড়িত?


আরও পড়ুন: Birbhum Violence: 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার',রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতারিতে বিস্ফোরক আনারুল


ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার অস্ত্র, পোড়া মোটর সাইকেল


সূত্রের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন আনারুল। অভিযুক্তদের জেরার পাশাপাশি এদিনও বটটুইয়ের পশ্চিমপাড়ায় নমুনা সংগ্রহ করে সিবিআই। বানিরুল শেখের পোড়া বাড়ির পিছনে হাঁসুয়া ও শাবল উদ্ধার হয়! উদ্ধার হয় পুড়ে যাওয়া একটি মোটরবাইক।


এক নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখ বলেন, “কেউ তো আর বাড়ির বাইরে অস্ত্র ফেলে রাখে না। সম্ভবত তারা এনেছিল অস্ত্র।” উদ্ধার হওয়া ধারাল অস্ত্র কি হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল? তা জানতে হাঁসুয়া ও শাবলে রক্তের দাগ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।