শিলিগুড়ি : রামপুরহাটকাণ্ডে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে রাস্তাতেও নেমেছে বিরোধীরা। সেই ইস্যুতে এবার বিরোধীদের পাল্টা তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শিলিগুড়িতে (Siliguri) সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে একহাত নিলেন বিরোধীদের। উঠে এল উন্নাও, হাথরসের প্রসঙ্গ।


তিনি বলেন, "উন্নাওতে একটা মেয়েকে জ্বালিয়ে দেওয়া হল, কী বিচার হয়েছে ? হাথরসের ক্ষেত্রে কী বিচার হল ? অসমে এনপিআর নিয়ে কত লোকের মৃত্যু হল ? দিল্লিতে কত লোক মারা গেল ? মৃতদেহগুলো কোথায় গেল, কেউ বিচার পেয়েছেন ? অসমে, ত্রিপুরায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি আমাদের। উত্তরপ্রদেশেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।"


আরও পড়ুন ; খুন হল তৃণমূল, আগুন লাগল তৃণমূলের ঘরেই, আবার আমাকেই গালাগাল দিচ্ছে: মমতা


তিনি আরও বলেন, "আগেও বলেছি, এখনও বলছি, সবাই সজাগ থাকুন। কাউকে কিছু অপ্রীতিকর কিছু করতে দেখলেই পুলিশে জানান। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে দরকার হলে আমাকে জানান। যদি কেউ কারও দোষ ধরিয়ে নেন, তাঁকে পুরস্কৃত করব। কারও বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, মিসড কল দিয়ে জানান। কোথায় কী ঘটছে আমাকে জানাবেন, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।"


আজ ফের একবার রামপুরহাটে হিংসার পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। বলেন, "আমি এখনও বলছি রামপুরহাটের ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র। সিবিআই নিজের কাজ করুক, আমাদের সহযোগিতা থকবে। সিবিআই যদি বিজেপির কথায় কাজ করতে যায়, তাহলে আন্দোলন । আগেও একাধিক মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই, কিন্তু কিছুই হয়নি। নোবেল চুরির তদন্তে এখনও কিছু মেলেনি। নেতাইকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত বিচার হয়নি।"


প্রসঙ্গত, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আজ থেকে বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। তিনজনের বয়ান রেকর্ড সিবিআইয়ের। প্রথমে গেল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে যান ডিআইজি সিবিআই অখিলেশ সিংহ। সেখানে ভর্তি এক নাবালক ও তিন মহিলা।


সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে ঘটনার দিনের কথা জানতে চাওয়া হবে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অপসারিত ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ভূমিকা কী ছিল তাও জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।