বীরভূম: রামপুরহাটের (Rampurhat Fire) বগটুইয়ে (Bogtui Arson) তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের (Birbhum Shootout) ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ নিয়ে ভাদু খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। ধৃতদের ১০দিনের পুলিশ হেফাজত।
ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল তিন জন
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ নামে তিন দুষ্কৃতী। গতকাল মালদা, রামপুরহাট ও ঝাড়গ্রাম সীমানা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন বগটুই গ্রামের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চারজনকে বোমা ছুড়তে দেখা যায়। দুষ্কৃতীদলের মধ্যে ছিল ধৃত শেরা শেখ।বাকি তিন দুষ্কৃতী এখনও অধরা।
এ দিকে, বুধবারই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করল বিজেপির (BJP) পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়ার টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
নাড্ডার কাছে বগটুই নিয়ে রিপোর্ট জমা বিজেপি-র
বগটুইকাণ্ডের পর পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। প্রতিনিধিদলে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজি ও রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও সাংসদ সত্যপাল সিং, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ। বগটুই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। ওই ঘটনায় আজ রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে দুর্বল করবে, প্রভাবিত করবে। এই ধরনের রিপোর্ট তদন্তকে ভুল পথে চালিত করবে। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট পেশ নিয়ে দার্জিলিঙে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি রামপুরহাটকাণ্ড বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র।