কলকাতা: বীরভূমে (Birbhum News) তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর, প্রথমবার বৈঠকে বসল কোর কমিটি। আর সেই বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডল স্পষ্ট করে দিলেন পদের লোভ তাঁর নেই। একইসঙ্গে দল ছাড়ছেন না বলেই স্পষ্ট করেন তিনি।
বৈঠকে বসল কোর কমিটি: জেলা সভাপতির পদ প্রত্যাহারের পর, বীরভূমে প্রথমবার বৈঠকে বসল তৃণমূলের কোর কমিটি। ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া টিম। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "পদ না পেলে অম্বল হবে, এমন মানুষ আমি নই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে চেয়েছিলেন। পদের মায়া নেই। জেল যখন খেটেছি, তখন কোনওদিনই অন্য দলে যাব না। অন্য দলে গিয়ে জেল খাটতে হত না।'' অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি, বৈঠক চলাকালীনই তাঁকে ফোন করে নির্ধারিত দিনেই মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার ৯ সদস্যের কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল, বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ। যদিও বৈঠকে ছিলেন না বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, এবং বোলপুরের বিধায়ক ও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চন্দ্রনাথ সিনহা। জেলা সভাপতির পদ তুলে দিলেও বীরভূমে তৃণমূলের চেয়ারপার্সন পদ তুলে দেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই পদে বহাল রয়েছেন রামপুরহাটের বিধায়ক ও কারামন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই, বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন তিনি।
এদিকে, ২৫ মে রামপুরহাট, ২৬ মে বোলপুর ও ২৭ মে সিউড়িতে ৩টি বড় মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলা সভাপতির পদ, দল তুলে নেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি আর অনুব্রত মণ্ডলের ডাকা কর্মসূচির কোনও গুরুত্ব রইল? কিন্তু এদিন কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রতর ডাকা এই তিনটি কর্মসূচিতেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে অবশ্য দাবি, এদিন বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেন। বীরভূমের তিনটি মহকুমায় অনুব্রত মণ্ডলের ডাকা মিছিল করার নির্দেশ দেন স্বয়ং দলনেত্রীই