ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায় ও পরিতোষ দাস, বীরভূম: খয়রাশোলের পর, এবার নানুর (Nanur) । বীরভূমে (Birbhum) ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash) । এলাকার দখলদারি কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দু-পক্ষের মধ্য়ে সংঘর্ষ। ঝড়ল রক্ত। যা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বীরভূমে ফের ঝড়ল রক্ত । আবার ঘটনাস্থল নানুর । মঙ্গলবার রাতে, নানুর বিধানসভার বোলপুরের (Bolpur) যজ্ঞনগর গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে ব্য়াপক সংঘর্ষ বাঁধে । সূত্রের খবর, এলাকার দখল কার হাত থাকবে, তা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতা রাজেশ শেখ ও লাল্টু শেখের মধ্য়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ।  


মঙ্গলবার রাতে পরিস্থিতি চরমে ওঠে: বাঁশ-লাঠি নিয়ে দুপক্ষের মধ্য়ে ব্য়াপক মারামারি হয় । পিঠে বীভৎস মারের দাগ বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ । আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন । তাঁদের মধ্য়ে ২ জনকে ভর্তি করা হয় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । তৃণমূলের দুপক্ষই একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।  


আহত তৃণমূল কর্মী কাজি হাকিম বলছেন, আমরা কাজল শেখের মিটিংয়ে গেছিলাম। যারা যায়নি তারা এসে মারে । মার মানে সাংঘাতিক মার । আমরাও তৃণমূল (tmc) করি । ওরাও তৃণমূল করে। আহত তৃণমূল কর্মী  শেখ শহিদুলের কথায়, আমাদের হঠাৎ মারতে এল । কাজলের পার্টি করে । কাজলের পার্টির ওরা মারল । 


গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) তিহাড় জেলে (Tihar Jail) বন্দি বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তারপর থেকেই লাল মাটির জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Inner Clash) অন্ত নেই । সম্প্রতি নানুরে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ ও নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যর (Subrata Bhattacharya) সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) সংখ্যালঘু সেলের নানুর ব্লকের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরীর সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে । 


সোমবারই, খয়রাশোলে ব্লক সভাপতির বিরোধিতায় সরব হয়েছে দলের একাংশ। আর এবার, নানুরে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ঝড়ল রক্ত। এনিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP) । মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ পক্ষের ৫ জনকে পাকড়াও করেছে বোলপুর থানার পুলিশ ( Bolpur Police Station) । 


আরও পড়ুন: Howrah News: নিখোঁজ গৃহবধুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ডোমজুড়ে, তদন্তে পুলিশ