Rampurhat Violence Live Updates: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তুঙ্গে তরজা, আঁতাঁতের অভিযোগে সরব তৃণমূল
Calcutta High Court: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত।
বগটুইকাণ্ডে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরে ৫ দিন কেটে গেছে। এখনও আতঙ্কের অন্ধকারে ঢাকা রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। বহু বাড়িতে তালা ঝুলছে। গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প বসলেও, সাহস করে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকে।
রামপুরহাটকাণ্ডে পুলিশ-তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম
রামপুরহাট থানায় গিয়ে এই মামলার কেস ডায়েরিও সংগ্রহ করে সিবিআই
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তুঙ্গে তরজা। সিবিআই-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগে সরব তৃণমূল। সন্দেহ থাকলে কোর্টে যাক, পাল্টা বিজেপি। আক্রমণে বাম-কংগ্রেসও।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে 3D লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার। এর সাহায্যে ক্রাইম সিনের একটি 3D মডেল তৈরি করা যায়। এর ফলে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করেও, ভার্চুয়ালি অপরাধের জায়গায় পৌঁছে তদন্ত করা যায়।
বগটুই গ্রামে গিয়ে তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
একের পর এক পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা
আনিস হত্যাকাণ্ড ও রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিল। হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে নর্থ মিল হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
পুলিশের আশ্বাস, দিনরাত পাহারা সত্ত্বেও এখনও আতঙ্কে বগটুই।
রামপুরহাট কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে রামপুরহাটে এসডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ বিজেপির। নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী। আনিস হত্যাকাণ্ড ও রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিল। হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে নর্থ মিল হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে একই ইস্যুতে রাজপথে নামল সিপিএমের মহিলা সংগঠন। মৌলালি থেকে মিছিল গেল পার্ক স্ট্রিট।>
বগটুইয়ে আক্রান্ত শিশুরাও। সাঁইথিয়ায় আশ্রয় নেওয়া আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলতে পৌঁছলেন রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।
তারাপীঠের সরকারি গেস্ট হাউজই হয়ে উঠতে চলেছে সিবিআইয়ের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম
রামপুরহাটকাণ্ডে এবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনারুল হোসেনের। রামপুরহাট হাসপাতালে আনার সময় তৃণমূল ব্লক সভাপতি দাবি করেন, "ঘটনার সময় এবং ঘটনার পরে বাড়িতেই ছিলাম আমার কাছে। পুলিশের কোনও ফোন আসেনি সব ষড়যন্ত্র। সহযোগিতা করব সিবিআই তদন্তে''
সকালে রামপুরহাট থানায় গিয়ে মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে সিবিআই। এরপর বগটুই গ্রামে গিয়ে পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ফের যান রামপুরহাট থানায়। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন বীরভূমের এসপি ও আইজি পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে।
রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআইকে তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস পুলিশের
রামপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় বামেদের মিছিল। মৌলালি থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল সিপিএমের মহিলা সংগঠনের।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিটের থেকে তদন্তভার নিল সিবিআই। বগটুই গ্রামে গিয়ে শুরু করল তদন্ত।
‘১১ এপ্রিল জেলাশাসকের অফিস অভিযান করবে বিজেপি’, জানালেন শুভেন্দু অধিকারী
রামপুরহাটে ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে দমকলের থেকেও রিপোর্ট নিল সিবিআই। ঘটনার রাতে কারা গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে, তালিকা তৈরি করছে সিবিআই
‘বগটুইয়ে পুলিশের কী ভূমিকা, ভাল বলতে পারবেন পুলিশ সুপার। যেভাবে রামপুরহাটে সিবিআই ও বিজেপি একসঙ্গে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্য সাহায্য করবে। বাম জমানার একটি গণহত্যার সময় কোনও মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াননি। যা ঘটেছে, তার নিন্দা করেছে তৃণমূল। প্রথমদিন থেকে সিট গঠন করে একের পর এক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপারের দায়িত্ব ছিল এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। বিজেপি বাংলার নির্বাচনে জিততে পারে না, তাই মৃতদেহ চাই’, বললেন কুণাল ঘোষ।
রামপুরহাটকাণ্ডে বাড়ি ছেড়ে যাঁরা সাঁইথিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন রামপুরহাটের বিডিও।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ধৃত ২২ জনকে হেফাজতে নিতে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআই। আজ সকালে রামপুরহাট থানায় গিয়ে সিটের কাছ থেকে কেস ডায়েরি ও মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ করে তারা। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন পলাতক।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। থানা থেকে এফআইআরের নথি, সিটের কেস ডায়েরি নিয়ে গেল আদালতে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে বিবরণ।
কীভাবে অগ্নি সংযোগ বগটুইয়ের গ্রামে? জানতে থ্রি ডি স্ক্যানার ব্যবহার ফরেন্সিকের। আগুন লাগার কতক্ষণের মধ্যে পৌঁছয় পুলিশ-দমকল, জানতে চায় সিবিআই।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। পুলিশের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের।
কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলকে নিয়ে বগটুইয়ে সিবিআই। প্রথমেই গেল বানিরুল শেখের অগ্নিদগ্ধ বাড়িতে। নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক দল।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই দু’টি দলে ভাগ হয়ে রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। থানা থেকে এফআইআরের নথি সহ সব তথ্য হস্তান্তর। নিল সিটের কেস ডায়েরি।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিটের থেকে তদন্তভার নিল সিবিআই। বগটুই গ্রামে গিয়ে শুরু করল তদন্ত। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ইএফআর। গতকালের পর আজ ফের গ্রামে গিয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। নমুনা সংগ্রহ করবে তারা। এদিন গ্রামে যান বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে কার্যত জনশূন্য বগটুই গ্রাম। রাস্তাঘাট শুনশান। যে ক’জন গ্রামবাসী রয়েছেন, আতঙ্কে তাঁরা ঘরের বাইরে পা রাখছেন না।
বগটুইকাণ্ডের তদন্তে ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের বিশাল টিম গতকাল রাতেই রামপুরহাটে পৌঁছেছে। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ৩০ জন। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করবে তারা। সূত্রের খবর, থানায় গিয়ে মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করার কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। আরেকটি দল যেতে পারে ঘটনাস্থলে। সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছে স্বজনহারা কয়েকটি পরিবার। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল তাদের সঙ্গে কথা বলতে যেতে পারে। খবর সূত্রের। হাইকোর্টের নির্দেশে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পর গতকালই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
রামপুরহাট হতাকাণ্ডের তদন্তে এবার সিবিআই। আর কোনও তদন্ত করবে না রাজ্যের সিট, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। ৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ১২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি ও মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ করবে সিবিআই। তদন্তে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তা সিটের তরফে সিবিআইকে জানানো হবে। পাশাপাশি, ধৃতদের বয়ানও নিতে পারে সিবিআই। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন পলাতক।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ৩০ জনের দল। থানা থেকে সংগ্রহ করবে কেস ডায়েরি। নেওয়া হতে পারে ধৃতদের বয়ান।
রামপুরহাটকাণ্ডে ১৮ বছরের বেশি পুরনো হত্যালীলার স্মৃতি ফিরল আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও চাবাগানে। ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর জনরোষের জেরে এক সিটু নেতার কোয়ার্টারে ২২ জনকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃশংস ঘটনা উসকে দিয়েছে সেই হাড়হিম করা আতঙ্কের স্মৃতি।
রামপুরহাটকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় পুলিশি তৎপরতা। মালদার ইংরেজবাজারে পুলিশের অভিযান। গতকাল রাতে পাঁচ মাইল এলাকা দুটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত আলম শেখ ইংরেজবাজারের খাসকোল মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ইএফআর। প্রশাসন নিরাপত্তা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে কার্যত জনশূন্য বগটুই গ্রাম। রাস্তাঘাট শুনশান। যে ক’জন গ্রামবাসী রয়েছেন, আতঙ্কে তাঁরা ঘরের বাইরে পা রাখছেন না।
বগটুইকাণ্ডের তদন্তে ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের বিশাল টিম গতকাল রাতেই রামপুরহাটে পৌঁছেছে। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ৩০ জন। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করবে তারা। সূত্রের খবর, থানায় গিয়ে মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করার কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। আরেকটি দল যেতে পারে ঘটনাস্থলে। সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছে স্বজনহারা কয়েকটি পরিবার। সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল তাদের সঙ্গে কথা বলতে যেতে পারে। খবর সূত্রের। হাইকোর্টের নির্দেশে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পর গতকালই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ২২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি ও মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহ করবে সিবিআই। তদন্তে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তা সিটের তরফে সিবিআইকে জানানো হবে। পাশাপাশি, ধৃতদের বয়ানও নিতে পারে সিবিআই। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন পলাতক।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। পুলিশের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের।
মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরেও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুললেন রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এক মৃতার মেয়ে। এদিকে, এখনও পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এই অবস্থায় CBI তদন্ত হওয়ায় খুশি তাঁরা।
শকিং এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে রামপুরহাটকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এই রায়ের কপিতে রিজওয়ানুরকাণ্ডএবং নন্দীগ্রাম-মামলারও উল্লেখ রয়েছে।
দলের মধ্যেই কি চাপে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? শুক্রবার কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণভাবেই অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কটাক্ষের সুর শোনা যায় কুণাল ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, ‘উনি অনেক বড় নেতা, বেশি বোঝেন, আমি ওঁর সম্পর্কে মন্তব্য করব না।’ কুণালের মন্তব্যের পাল্টা জবাবে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘আমি ওঁর সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি নই।’
১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আনারুল। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা।
প্রেক্ষাপট
সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা ও রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা ও রামপুরহাট: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আর কোনও তদন্ত করবে না রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তৈরি করা বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোের্টের নির্দেশ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে।
নিরপেক্ষ কোনও এজেন্সিকে দিয়ে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ছিল সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেসের করা মামলাও। রামপুরহাটকাণ্ডে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা শুরু করে। সবকটি মামলা এক সঙ্গে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার রায়ে আদালত বলে, ‘অবিলম্বে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে। যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, মর্মান্তিক ও ভয়াবহ।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার আর কোনও তদন্ত করবে না। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ এবং ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।’
কলকাতা হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে আরও বলেছে, ‘মঙ্গলবার, সিট গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সিটের তরফে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ করা হয়, ঘটনাস্থল থানা থেকে অত্যন্ত কাছে হওয়া সত্ত্বেও, পুলিশ অগ্নিদগ্ধ মানুষদের উদ্ধার করতে সময় মতো পৌঁছয়নি। মামলাকারীর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, যেভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। কত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তা নিশ্চিত করার জন্য টাওয়ার ডাম্পিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের ভিডিওগ্রাফি করা এবং ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় প্রত্যক্ষদর্শীদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নিয়ম মানা হয়নি বলেও অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী যে পদ্ধতিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি।’
৭ এপ্রিল ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই, পুলিশের করা এফআইআর ও অভিযোগপত্রের কপি চেয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে ই-মেল করে সিবিআই। সেগুলি পাওয়ার পর এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বীরভূমে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের দল। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে সিবিআইয়ের একজন এসপি এবং কয়েকজন ডিএসপি পদমর্যদার অফিসার রয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে যাতে একতরফা শুনানি যেন না হয়, তার জন্য ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং কংগ্রেসের প্রীতি কর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -