বীরভূম: নোবেলজয়ীর চিঠির পাল্টা অমর্ত্যকে উচ্ছেদের নোটিস বিশ্বভারতীর (Visva Bharati)। অমর্ত্য সেনকে (Amrtya Sen) ১৫ দিনের ডেডলাইন বিশ্বভারতীর। ‘১৫ দিনের মধ্যে খালি করতে হবে প্রতীচী’। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এবার উচ্ছেদের নোটিস দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতীচী ছাড়ার কথা বলে, বুধবার রাতে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাতে সই আছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর। নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে প্রতীচী না ছাড়লে, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা হবে। এই বিষয়ে অমর্ত্য সেন বা তাঁর পরিবারের কারও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বোলপুর এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে মামলা চলাকালীনই অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নোটিস ঝোলায় বিশ্বভারতী। নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছিল আগামী ১৯ এপ্রিল প্রতীচীর জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছেন অমর্ত্য সেন। যদিও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি প্রতীচীর জমি তাঁর বাবা কিনেছিলেন। আগামী ৬ জুন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে শুনানিতে ডাকা হয়েছে দু পক্ষকে। তার আগেই নোটিস ঝোলালো বিশ্বভারতী। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন সব সময় নজরদারি চলছে।
গতমাসে নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদ নোটিসের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছিল ভূমি সংস্কার দফতরের নথি। সরকারি নথি বলছে ১.২৫ একর নয়, ১.৩৮ একর জমিই অমর্ত্য সেনের নামে। রেকর্ড প্রকাশ ভূমি সংস্কার দফতরের । অকারণে অপমান করছে বিজেপির সমর্থকরা, ট্যুইটকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। ভূমি সংস্কার দফতরের নথি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিশ্বভারতীর। ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগে অর্মত্য সেনকে বিশ্বভারতীর নোটিস। জমি ছেড়ে দিতে বলে ২৯ মার্চ নোবেলজয়ীকে হাজিরার নোটিস বিশ্বভারতীর। এখনও কোনও চিঠি আসেনি, দাবি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনজীবীর।
অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিস: বিশ্বভারতীর অভিযোগ, শান্তিনিকেতনের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন নোবেলজয়ী। তাঁকে সেই জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিসে। সেই সঙ্গে, ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে হাজির হতেও বলা হয়েছে। যদিও অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখনও কোনও চিঠি পাননি।
সংঘাতে নতুন মোড়: প্রতীচীর জমি বিতর্কে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংঘাতে নতুন মোড়। এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ! ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ে তাঁকে হাজির হতেও বলা হয়েছে। বিতর্কের কেন্দ্রে ১৩ ডেসিমল জমি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল৷
পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রতীচীতে লিজের ১২৫ ডেসিমেল ছাড়াও অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রাখা হয়েছে। অমর্ত্য় সেনের ওই জমি-বিতর্কে সংঘাতে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য় সরকার। সম্প্রতি, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাসভবনে যান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পরের দিন, বিশ্বভারতীর শিক্ষক-পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করে...নাম না নিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যকে নিশানা করে ন মুখ্য়মন্ত্রী।