ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, বীরভূম: বোমা-বিস্ফোরক উদ্ধারের (Bomb Recovery) ধারায় যেন কিছুতেই ছেদ পড়ছে না বীরভূমে (Birbhum)। এবার মল্লারপুর থানার যবনী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে অন্তত ২০টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, মল্লারপুর থানার বড়তুড়িগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে যবনী গ্রামের একটি পরিত্য়ক্ত বাড়ি থেকে বোমাগুলির হদিস মিলেছে। জানা গিয়েছে বাড়িটি হারুণ সেখের। গত তিন বছর ধরে মহারাষ্ট্রে থাকে হারুনের পরিবার। তাই বাড়িটি খালিই পড়ে ছিল। কিন্তু সেখানে এতগুলি বোমা এল কোথা থেকে? কে বা কারা সেগুলি ওই বাড়িতে রেখেছিল? উদ্দেশ্য কী ছিল তাদের? খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বোমা-বিস্ফোরক-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়ে চলেছে বীরভূমের নানা প্রান্ত থেকে। আজ সকালে যেমন সাঁইথিয়ার ফুলুর অঞ্চলের চাঁদপুর গ্রামে বোমা ভর্তি একটি ব্যাগ ও দুটি প্লাস্টিকের বালতি উদ্ধার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ব্যাগ এবং বালতিতে প্রায় ৬০-৭০ টি  বোমা রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। বম্বস্কোয়ার্ডকে বিষয়টি নিয়ে খবর দেওয়া হয়। 


এর আগে, চলতি সপ্তাহে লাভপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছেই তাজা বোমা মেলে। শুক্রবার রাতে দরবারপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ১০ মিটার দূরে এক ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। প্লাস্টিকের ড্রামে ২৫-৩০টি বোমা ছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই দুষ্কৃতী গোলাম মোস্তাফার বাড়ি। কয়েকমাস আগে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনায় ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। এই দরবারপুর গ্রামেই ২০১৭ সালে বোমা বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার আগে নলহাটির মধুপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ২ বস্তা জিলেটিন স্টিক, ৩২০০ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এত বিস্ফোরক এল কোথা থকে, কে বা কারামজুত রেখেছিল সেগুলি, তদন্তে নলহাটি থানার পুলিশ।অন্যদিকে, নলহাটিরই লস্করপুরের কাছে রাস্তার ধারে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যাগ তাজা বোমা। শুক্রবার ভোররাতে নলহাটি থানা পুলিশ এই বোমাগুলি উদ্ধার করে। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তারাপীঠের নুরুদ্দিপুরে ঝোপ থেকে একটি বোমা ভর্তি বালতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রায় ৮ -১০ টি বোমা মিলেছে বালতিতে।