আবীর দত্ত, কলকাতা :  শুধু গরুপাচার ( Cow Smuggling )  নয়, বীরভূম জেলা পরিষদ ( Birbhum Zilla Parishad ) থেকেও দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মাধ্যমে তোলা তুলতেন অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় চার্জশিটে ইডি-র দাবি, এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যের।


কে এই রাজীব


বোলপুরের আমোদপুরের বাসিন্দা এই চালকল মালিক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। গরুপাচার মামলায় এর আগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করে, অনুব্রতর হয়ে চালকলগুলি চালাতেন রাজীব। 


সায়গল মারফৎ আর কী কী কাজ হত 


গরুপাচার কারবারে, অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে অধিকাংশ কাজই করে দিতেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ED, CBI-এর তদন্তে এই তথ্য আগেই উঠে এসেছে বারবার। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে চার্জশিট জমা দিয়ে, আরও বিস্ফোরক দাবি করে ED। গরু পাচারকারীদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের মূল সেতুই ছিলেন সায়গল। এমনকী গরু পাচারের টাকা কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তাও ঠিক করে দিতেন তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী। এই সায়গলের মাধ্যমেই আবার তোলা তুলতেন অনুব্রত মণ্ডল। 


ইডির চার্জশিট অনুযায়ী সায়গল হোসেন ED-র জেরায় জানিয়েছেন, গবাদি পশু ব্যবসা সংক্রান্ত কথাবার্তা তাঁর মোবাইল ফোন মারফতই করতেন অনুব্রত মণ্ডল। চার্জশিটে ED-র আরও দাবি, তৃণমূল নেতা এমনকী বিধায়করাও সায়গল হোসেনকে ফোন করে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতেন। চার্জশিটের সঙ্গে সায়গলের কল রেকর্ড ডিটেলসও আদালতে জমা দিয়েছে ED। 



আরও পড়ুন : 


শনিবার কারা সতর্ক থাকবেন ? কেমন যাবে আজকের দিন ?


হাজিরা দিলেন আব্দুল লতিফ


অন্যদিকে ৯ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষে, শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দ্বিতীয়বার হাজিরা দিলেন আব্দুল লতিফ। সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পাওয়ার পর, গত ২৭ এপ্রিল আসানসোলের সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। শর্ত সাপেক্ষে জামিন মেলার পর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর আগে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল লতিফের। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়।


ইলামবাজার পশু হাটের মালিক লতিফ ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। গরুপাচারে আরেক অভিযুক্ত এনামুল হকের ডান হাত বলে পরিচিত লতিফ। গরুপাচার মামলায় ইডি-র চার্জশিটেও লতিফের নাম রয়েছে। ইডি-র দাবি, বাংলাদেশে পাচারের জন্য বীরভূম থেকে গরুগুলিকে ট্রাকে তুলে, মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আব্দুল লতিফের ওপর।