আবীর ইসলাম, বীরভূম:    বীরভূমে (Birbhum) বিজেপি (BJP)তে ফের ভাঙন। এবার তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। পরপর দুই নেতার দলত্যাগে অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। উন্নয়নে সামিল হতেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি দলত্যাগী নেতার। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড।


২০২১-এর শেষের দিকে বিজেপি ছেড়েছিলেন বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু চৌধুরী। আর নতুন বছর শুরু হতে না হতেই, ফের ভাঙন ধরল পদ্ম শিবিরে।এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে শিবির বদলালেন তিনি।


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এলাকার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে, এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এই লক্ষ্যেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। 


বিজেপিতে নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর গত ২৬শে ডিসেম্বর, সরব হন অতনু। ক্ষোভ উগরে দেন নিজের ফেসবুক পোস্টে। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা।সেই জল্পনা সত্যি করে এদিন দল বদলালেন তিনি। আর এই প্রসঙ্গেই বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।


বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্যই তৃণমূল গেছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য কাকের গায়ে ময়ূরের পালক লাগিয়েছিলাম, কাক কাকই থাকে।


ইতিমধ্যেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন, বীরভূম জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সামাদ শেখ।জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন তিনি। এই অবস্থায় অতনু চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগে অস্বস্তিতে বিজেপি।


উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটে তৃণমূলের। তারপর থেকে গোটা রাজ্যেই বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের শাসক দলে সামিল হতে দেখা যাচ্ছে। বীরভূমও এর ব্যতিক্রম নয়।