বীরভূম:  লালন শেখের মৃত্যু মামলায় আপাতত সিবিআই-এর (CBI) দুই কনস্টেবলের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে পারবে না রাজ্য পুলিশের SIT. হেফাজতে থাকাকালীন, বগটুই হত্যাকাণ্ডের (Bogtui Incident) মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন সিবিআই-এর কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল ও প্রেমশঙ্কর ঘোষাল। 


কেন পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চাওয়া হচ্ছে ? কেন মিলল না অনুমতি ? 


তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁরা তথ্য গোপন করছেন ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণে তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চেয়ে রামপুরহাট আদালতে আবেদন করেন সিটের সদস্যরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কারও অনুমতি ছাড়া পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না। সিবিআই-এর দুই কনস্টেবলও অনুমতি দেননি। তাই এখনই তদন্তের স্বার্থে তাদের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এর আগে বগটুইকাণ্ডে ধৃত আনারুল শেখ-সহ একাধিক অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই সময় তারাও অনুমতি দেননি।


ঠিক কী হয়েছিল ? লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কী অভিযোগ উঠেছিল ?


লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন CBI-এর দুই তদন্তকারী অফিসার এবং দু-জন কনস্টেবল। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল (TMC)। লালন মুখ খুললে কাদের ক্ষতি হত?  পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ১২ ডিসেম্বর, রামপুরহাটে CBI-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে, শৌচাগার থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। CBI দাবি করেছিল, লালন আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লালনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে! এই মর্মে CBI-এর ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় এফআইআর করেছিলেন তিনি।  স্বামীর মৃত্যুর জন্য CBI-এর একাধিক তদন্তকারী অফিসার-সহ আরও অনেক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন লালনের স্ত্রী। 


আরও পড়ুন, বাঙালিকে ভালবেসে অনুবাদ, গুলজারের জীবন বদলে দেওয়া বই হয়ে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ


কাদের সাসপেন্ড করেছিল সিবিআই ?


সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর, এক মাস পর গাফিলতির অভিযোগে দুই তদন্তকারী অফিসার এবং দু-জন কনস্টেবল-সহ চারজনকে সাসপেন্ড করেছিল CBI। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে FIR- দায়ের করেছিল পুলিশ। আর তার একেবারে প্রথমেই নাম ছিল বিলাস মাধঘুটের। যিনি বগটুই হত্যাকাণ্ডে, CBI-এর তদন্তকারী অফিসার। দ্বিতীয় নাম ছিল, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডলের। যিনি CBI হেফাজতে, লালনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।তৃতীয় নামটি হল রাহুল প্রিয়দর্শীর। যিনি হলেন ভাদু শেখ খুনে, CBI-এর তদন্তকারী অফিসার। এই তিনজন ছাড়াও একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছিল সিবিআই।