ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) গবেষণারত এক ছাত্র। বাড়ি ফেরার সময় রাতের অন্ধকারে তাকে রাস্তায় ফেলে পেটাল দুস্কৃতীরা। রাস্তায় পড়ে সে অচেতন হয়ে যায়। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শান্তিনিকেতন থানায় এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে শান্তিনিকেতনে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। 


জানা গিয়েছে, আহত ছাত্রের নাম মণিষ। তার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট। সে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি ভবনে গবেষণা করছে। অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮ টা৩০ নাগাদ হোটেল থেকে রাতের খাবার খেয়ে তার ভাড়া বাড়িতে ফিরছিল। শান্তিনিকেতন থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এনসিসি ক্যাম্প যাওয়ার রাস্তায় দুই বাইকে আরোহী আসে এবং রাস্তা আটকায়। তাদের দুজনের মাথায় হেলমেট ছিল। মণিষের কাছ থেকে মোবাইল নেওয়ার চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। দুস্কৃতিরা তাকে রাস্তায় ফেলে পেটায়। এই ঘটনায় সে আহত এবং অচৈতন্য হয়ে পড়ে। সুযোগ বুঝে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীরা।  পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করে। 


মণিষের এক বন্ধু জানান, মণিষ হাসপাতালে।  শান্তিনিকেতন থানায় তারা লিখিত অভিযোগ করেছে। তারা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। প্রসঙ্গত,  চলতে মাসে এই পূর্বপল্লীর রাস্তায় যাওয়ার সময় এক স্থানীয় মহিলার মোবাইল ছিনতাই করে নেয় দুস্কৃতীরা।  একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় শান্তিনিকেতনে বাসিন্দারা আতঙ্কিত।


আরও দেখুন, উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া হবে তো ? অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে চিন্তায় ছাত্রী, খবর সংবাদ মাধ্যমে আসতেই..


প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অঘটন ঘটেছে শান্তিনিকেতনের বুকে । তেইশ সালে বিশ্বভারতী থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক বিদেশি গবেষক। তারপর ওড়িশার তালসারির সি বিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ৫-৬জন যুবক একটু কালো গাড়িতে করে ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি তুলেছিলেন। কর্তৃপক্ষের দায়ের করা নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল বোলপুর থানার পুলিশ। ।এরপরেই সামনে আসে নিখোঁজ গবেষকের নাম, পান্নাকারা থাই। তিনি মায়ানমারের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শান্তিনিকেতনের পশ্চিম গুরুপল্লির একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। ভারতীয় দর্শন নিয়ে গবেষণারত ছিলেন তিনি বিশ্বভারতীতে।