ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রেতা মফিজুল ইসলামকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়ার সময় বোলপুরের সুপুর গ্রামের কাছে এক এএসআই-কে গ্রেফতার করল বোলপুর থানার পুলিশ। তাঁর সঙ্গে থাকা একজন সিভিক ও গাড়ির ড্রাইভার পলাতক। অভিযুক্ত এএসআই লাল্টু হাজরা সিউড়ি পুলিশ লাইনে পোস্টিং। পরে তাঁকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে বোলপুর মহকুমা আদালত। 


এই বিষয়ে বোলপুর মহকুমা আদালতের সহকারি সরকারি  আইনজীবী উদয় গড়াই জানান, মফিজুল ইসলাম আয়ুর্বেদিক ওসুধ বিক্রেতা। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। সে রামপুরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। অভিযোগ,  রবিবার দুপুরে মফিজুলকে রামপুরহাট থেকে কিডন্যাপ করে একটি গাড়িতে করে এএসআই লাল্টু হাজরা, একজন সিভিক এবং গাড়ি চালক বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন।


বোলপুরের সুপুর গ্রামের কাছে গাড়ি থেকে কোনওভাবে নেমে মফিজুল চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা লাল্টু এবং তার সঙ্গে থাকা গাড়িটি আটক করে। বোলপুর থানার পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ লাল্টুকে আটক করে কিন্তু সিভিক এবং গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। যখন পুলিশ লাল্টুকে গ্রেফতার করে তখন সে পুলিশের পোশাক পরে ছিল। লাল্টুর বাড়ি সাঁইথিয়া। সে মফিজুলের কাছে দেড় লক্ষ টাকা চেয়ে ছিল। তা না দেওয়ার জন্য কিডন্যাপ করা হয়েছিল।  


অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অপু হাটি বলেন, রামপুরহাট থেকে কিডন্যাপ করে বর্ধমানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ লাল্টুর বিরুদ্ধে। মফিজুলের অভিযোগ তাঁর কাছে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল, সেটা মিথ্যা। আর এতটা রাস্তা গাড়ি করে এল, আর সে চিৎকার করল না কেন? আর এই কেস রামপুরহাট থানার হওয়া উচিত, কিন্তু বোলপুর থানায় কেন ? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন, জেলবন্দি আরাবুলের খাস তালুকে ধুন্ধুমার, তৃণমূল ও ISF সংঘর্ষে আহত একাধিক


প্রসঙ্গত, প্রকাশ্যে রাস্তায় এর আগেও ব্যবসায়ীকে অপরহরণের ঘটনা ঘটেছে।একেবারের সিনেমার ধাঁচে রাজ্যের অপরহরণের ঘটনা নেহাত কম নয়।  দক্ষিণ ছবির মতোই আচমকাই এসইউভি গাড়ি ব্রেক কষে, চাকা ঘষে দাঁড়ানোর ঘটনারও সাক্ষী এই বাংলা। চলতি বছরের শুরুতেই এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানা এলাকা। যদিও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ফোনে দিতে গিয়েই কাল হয়। ফোনের লোকেশন ট্র্য়াক করতেই কেল্লা ফতে। পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অপহরণকারী। সেবার ওই ঘটনায় শ্রীঘরে যেতে হয় ৩ জনকে।