এরশাদ আলম, বীরভূম: বঙ্গ বিজেপিতে ফের বিদ্রোহের আগুন। সোশাল মিডিয়ায় পদত্যাগ বীরভূম জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্যের। ফেসবুকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা ফণীরঞ্জন রায়। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর যাঁরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, তাঁরাই এখন বিজেপির জেলা কমিটির নের্তৃত্বে। দল তাঁর মূল্যায়ন করেনি বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা।
প্রায় ২ কোটি টাকার চাকরির অফার পেলেন যাদবপুর পড়ুয়া
ফেসবুকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা ফণীরঞ্জন রায়। ইতিমধ্যেই নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য সভাপতির উপর ক্ষোভ উগরে বার করেছেন। বিজেপি নেতা ফণীরঞ্জন রায়, জেলা নের্তৃত্বের উপর একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, একুশের বিধানসভা ভোটের পর হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন তার পরিবারও। হামলাকারীরা তাঁদের বাড়ির উপর এবং তাঁর দাদার পেট্রোলপাম্পের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এদিকে সেই হামলাকারীরাই এখন, জেলা কমিটির নের্তৃত্বে রয়েছেন। বারংবার বলা সত্ত্বেও, তার কোনও কোনও কথাই কখনও কানে নেননি জেলা কমিটি।এদিকে, বিজেপিকে 'ফেসবুক পার্টি' বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের দাবি, মাসখানেকের মধ্যে বীরভূমে বিজেপির জেলা কমিটির সব সদস্যই পদত্যাগ করবেন। দলীয় নেতার প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ নিয়ে অস্বস্তি ঢাকতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস গেরুয়া শিবিরের।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবিজেপিতে পদত্যাগের মোড়ক লেগেছে, তৃণমূলের তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর। একের পর এক বিধায়ক, নেতারা গেরুয়া শিবির থেকে ঘাসফুলে নাম লিখিয়েছেন। তবে এর মধ্যে রাজীবদের মতো অনেকেই রয়েছে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে আসা দলবদলুদের ফের তৃণমূলে ফেরা। আবার বিজেপির হেভিওয়েট নেতা বাবুল সুপ্রিয়ও। যিনি ইতিমধ্যে অল্প ভোটের ব্যবধানে বালিগঞ্জ বিধানসভায় বাজিমাত করেছেন। বিজেপি থেকে বাবুল বিয়োগে যে বড়সড় ভারডুবি হয়েছে দিলীপ ঘোষ না মানলেও হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন বলে দাবি বঙ্গ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েটদের। এদিকে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে অনেকদিন ধরেই। মূলত বাংলায় বিজেপির হারের পর আরও বেশি ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের উপর।তবে একের পর এক পদত্যাগ নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠেনি, তা নয়। দলীয় চোখরাঙানির উর্ধ্বে গিয়ে সোশ্যালমিডিয়াতেই প্রশ্ন তুলেছেন অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ-সহ অনেকেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, শাহ-নাড্ডা সবাই এল শহরে, পদ্মনেতাদের পদত্যাগই শুধু থামল না, বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।