আবির ইসলাম, বীরভূম: প্রাইমারি স্কুলে চাকরি (Primary School Job) পাইয়ে দিতে ৯ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত পেতে পায়ে পড়লেন চাকরিপ্রার্থী। ঘটনা বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, চাকরি (Job) পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়, অন্য কারণে টাকা নিয়েছিলেন।


SSC থেকে প্রাথমিক টেট (TET), নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যখন তোলপাড় রাজ্য, তখনই এই দৃশ্য শোরগোল ফেলে দিল বীরভূমের ইলামবাজারে। প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। কিন্তু চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত পেতে, রাস্তাতেই তৃণমূল কর্মীর পা ধরলেন এক যুবক।


একবার নয়, দু’দুবার! ইলামবাজারের বাসিন্দা আশিস সিংয়ের দাবি, ২০১২ সালে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য, তৃণমূল কর্মী রতন মণ্ডলকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি মেলেনি। এরপর ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন তৃণমূল কর্মী। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন, টিউমার-সহ চোখ বাদ গেল ক্যানসার আক্রান্ত একরত্তি শিশুর, প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা


এরপরই শুক্রবার রাস্তায় তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন চাকরিপ্রার্থী। টাকা ফেরত পেতে, তাঁর পা-ও ধরেন যুবক। প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থী আশিস সিং বলেন, "প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে রতন মন্ডল কে আমি ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম । কিন্তু চাকরি হয়নি , আমাকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে বাকি টাকা দিচ্ছেনা । বাবা অসুস্থ টাকার খুব প্রয়োজন।" 


চাকরিপ্রার্থীর দাবি, প্রথমে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২ মাস সময় চান তৃণমূল কর্মী। কিন্তু এখনও মেলেনি সেই টাকা। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও অভিযুক্তর দাবি, তিনি অন্য কারণে ওই টাকা ধার নিয়েছিলেন। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রতন মণ্ডল বলেন, "সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি নিজের মেয়ের প্রাইমারিতে চাকরির জন্য, নানুরের বাসাপাড়ার বাসিন্দা রফিককে টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে টাকা দিচ্ছেন না।"  


SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। টেট দুর্নীতির মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষাপটেই ইলামবাজের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।