আবির ইসলাম, বীরভূম: এ বছর পৌষমেলা (Poushmela) হচ্ছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। বিতর্ক সরিয়ে মেলার আয়োজন করতে চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে (Home Secretary) চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) উপাচার্য। মেলার প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) ট্রাস্টকেও চিঠি দিল বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ।


শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার প্রস্তুতি: শান্তিনিকেতনে ফিরছে পৌষমেলা। রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। শান্তিনিকেতনে পৌষ উত্সব। এই উত্সবকে কেন্দ্র করে ২৩ ডিসেম্বর থেকে পূর্বপল্লীর মাঠে শুরু হয় পৌষমেলা ৷ ঐতিহ্যবাহী এই মেলার টানে প্রতিবার লাল মাটির দেশে ভিড় জমান দেশ, বিদেশের পর্যটকরা। করোনাকালে সেই আনন্দোত্সবে ভাঁটা পড়ে। ২০২০ ও ’২১, এই ২ বছর বন্ধ ছিল পৌষ মেলা। করোনা কাটিয়ে এ বছর মেলার আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।


বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদের অধ্যাপক ও যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য, “২ বছর মেলা হয়নি। এ বছর মেলা করতে চেয়ে উপাচার্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। মেলার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকেও চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ৷ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য অনিল কোনার বলেন, “মেলা করতে চেয়ে কর্মী পরিষদ চিঠি দিয়েছে। আমরা আলোচনা করে দেখছি।’’ পৌষ মেলা আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন। শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্প ব্যবসায়ী সংগঠন সম্পাদক আমিনুল হুদা বলেন, “২ বছর ধরে মেলা হয়নি। সমস্যা হয়েছে। এবার আমাদের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতা করব।’’ ২০২১-এ বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করে বীরভূম জেলা প্রশাসন। এবার শান্তিনিকতেন পৌষ মেলা হলে বোলপুরের সেই মেলা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: Tarakeshwar Shravani Mela: প্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মাইক-বক্স বাজানোও বারণ, ১৭ জুলাই শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা