এরশাদ আলম, ময়ূরেশ্বর (বীরভূম): বধূর (wife) নৃশংস হত্যায় (brutal murder) অভিযোগের আঙুল উঠল স্বামীর (husband) দিকে। পরে আত্মঘাতী (attempted suicide) হওয়ার চেষ্টা করেন স্বামীও। বীরভূমের (birbhum)ময়ূরেশ্বর থানার শেলাহাট গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। 


কী ভাবে খুন?


হঠাৎ কেন এমন আগ্রাসী হয়ে উঠলেন প্রৌঢ়? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অভিযুক্ত অজিত ভাল্লা যে স্ত্রী ছবি ভাল্লার সঙ্গে থাকতেন না, সেটা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। আপাত ভাবে যা জানা যাচ্ছে তাতে তদন্তকারীদের ধারণা, পারিবারিক কোনও অশান্তির জেরেই এই খুন। ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠেছেন এলাকার মানুষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অজিত ভাল্লা ভয়ঙ্কর ভাবে স্ত্রীকে কুপিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই আঘাতে ৫৫ বছরের ছবির এক হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে পড়ে যায়। তার পরও থামেননি অজিত, ধারণা পুলিশের। এলোপাথারি কোপানি চলতে থাকে। পরে প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কী কারণে এত আক্রোশ, তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরা। হঠাৎ কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।


স্পষ্ট নয় 'মোটিভ'


হামলার পর সম্ভবত বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত নিজেও। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আপাতত সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক আগেই  সামান্য বিষয়ে তর্কাতর্কির জেরে তমলুকে বাবার মাথায় বাঁশের বাড়ি মারার অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। গভীর রাতের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পলাতক অভিযুক্ত। খুনে প্ররোচনা দওয়ার অভিযোগে বৃদ্ধের বড় ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল অভিযুক্ত। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফের শিরোনামে বীরভূমের এই নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনা। 


আরও পড়ুন:কর্মীদের ঘুষ দিয়ে জেলেই 'বিলাসবহুল' থাকাখাওয়া, অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর