সুকান্ত মুখোপাধ্যায়  এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুরঃ বোলপুরের রাইসমিলে (Bolpur) হানা সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের। চারিদিকে বৃষ্টি পড়ছে। গাড়ি নিয়ে এদিন সাতসকালেই হাজির হন সিবিআই-র অফিসাররা। আর রাইসমিলে হানা দিতে বেরিয়ে পড়ল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।


২০১১ সালের আগে  রাইস মিলের মালিক ছিলেন হারাধন মণ্ডল, ২০১১ সালের পর  আচমকাই বিক্রি অনুব্রতকে, কিন্তু কেন ?


জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিলের মালিক ছিলেন হারাধন মণ্ডল। তাঁর ছেলের অংশিদারিত্ব ছিল। আচমকাই ২০১১ সালের পর গোটা রাইস মিল তিনি বিক্রি করে দেন অনুব্রত মণ্ডলকে। ওই রাইস মিলের দুজনের মালিকানা রয়েছে। এক, অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। একের পর সম্পত্তির হদিসের সঙ্গেই জানা গিয়েছে, খাতায় কলমে প্রতিটি সম্পত্তি মূলত তিনজনকে দেওয়া হয়েছে। এক  স্ত্রী ছবি মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা এবং বিদ্যুৎবরণ গাইনকে। বিদ্যুৎবরণ গাইন মূলত অনুব্রতকে 'বাবা'সম্বোধন করে ডাকেন।যিনি ২০১১ সালের আগে এখন খালাসি ছিলেন, এখন বোলপুর পুরসভার কর্মী। আর এখানেই সন্দেহর বীজ। তার নেপথ্যে মূলধন কার ছিল ? জানতেই এদিন বোলপুরের রাইসমিলে অভিযান সিবিআই-র প্রতিনিধি দলের।


যদি স্টাফরা ভিতরে না থাকতেন তাহলে কোথা থেকে এল ওই সাইকেল, বাইক ? চাবি খুঁজে না পাওয়া গেলে তারা ঢুকলেন কীকরে ?


এদিন রাইস মিলে ঢুকতে পারছিলেন না সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জানানো হয় প্রথমে ভিতরে কেউ নেই। যদিও এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিতরে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি তো বটেই, পাশাপাশি বাইক, সাইকেলও। যদি স্টাফরা ভিতরে না থাকতেন তাহলে কোথা থেকে এল ওই সাইকেল, বাইক ? আর চাবি যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে তারা ঢুকলেন কীকরে ? এদিকে ততক্ষণে প্রায় ৪০ মিনিট কেটে গিয়েছে। মিলের কর্মীরা তারপর আসেন। মিলের নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, তাঁদের কাছে চাবি ছিল না। চাবি এনে তারপর গেট খোলা হয়। তারপর গেট দেরি কেন খোলা হল,চাবি কোথায় ছিল, কার কাছ থেকে আনা হল, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্যামারার সামনে রীতি মত কথার হোচট খাচ্ছিলেন এক কর্মী। সবমিলিয়ে বৃষ্টির মাঝে বোলপুরের এই রাইস মিলে সিবিআই হানার পর রহস্য বাড়ল।