গোপাল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি: এবিপি আনন্দের খবরের জের। সিউড়ি হাসপাতাল (Suri Super Specialty Hospital)  চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করল পুরসভা (Municipality)। সাফাইয়ের কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে স্থানীয়রা।


হাসপাতাল (Hospital) চত্বরেই জমে ছিল আবর্জনার (Garbage) পাহাড়। দুর্গন্ধে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল রোগী ও আশেপাশের বাসিন্দাদের। হাসপাতালের বর্জ্য এভাবে জমা হওয়ায় বাড়ছিল অসুখ-বিসুখ ছড়ানোর আশঙ্কা। সিউড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Suri Super Specialty Hospital) চত্বরের এই অস্বাস্থ্যকর ছবি তুলে ধরেছিল এবিপি আনন্দ। সেই খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসল পুরসভা।


অভিযোগ, এক মাসের বেশি সময় ধরে এমনই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে হাসপাতাল (Hospita)। আবর্জনা পরিষ্কারের কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমোদপুরের (Amodpur) বাসিন্দা রোগীর আত্মীয় ডাবলু মণ্ডল বলেন, দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।  আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি। দ্রুত পরিষ্কার হওয়া দরকার। দিনের পর দিন জমা হওয়া জঞ্জালের পাহাড় সরল একদিনের মধ্যেই। সোমবার সকালে সিউড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে শুরু হয় সাফাইয়ের কাজ। পে লোডার দিয়ে বর্জ্য তুলে, তা পুরসভার গাড়িতে করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। দ্রুত সব আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে আশ্বাস।


হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের কাজ শুরু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। সিউড়ি পুরসভার (Suri Municipality) পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে আমরা সমস্ত আবর্জনা সরিয়ে দেব।’’ এক মাসের বেশি সময় ধরে জমে থাকা জঞ্জাল সরানোর পদক্ষেপ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। সিউড়ির বাসিন্দা শেখ আনিসুর বলেন, “দুর্গন্ধে থাকতে পারছিলাম না। আমরা ধন্যবাদ জানাই এবিপি আনন্দকে। আপনারা খবর দেখানোর পরেই এই কাজ হল।’’


আরও পড়ুন: Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে সমস্যা, 'কেন এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমাচ্ছে সরকার'? প্রশ্ন হাইকোর্টের