গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: কাঁকড়তলা থানার পেঁচালিয়া গ্রামে এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় সাত ফুট লম্বা পাইথন সাপ। কাল সন্ধ্যাবেলায় ওই গৃহস্থের বাড়ির শৌচালয়ে সাপটি দেখতে পায় বাড়ির লোক। এরপর থেকেই শৌচালয় আটকে রাখা হয় সাপটিকে আজ কাঁকড়তলা থানার পুলিশ ও বন দফতরের সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তর এর কর্মীরা। 


কিছুদিন আগেই বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত যাত্রা গ্রামে উদ্ধার হয়েছিল একটি অজগর সাপ। একদিন রাতে একটি বিশাল  অজগর সাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা।  এরপর সাপটি গ্রামে ঢুকলে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় জাতীয় বন্যজীবঅপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাসকে। খবর পেয়ে  তিনি বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বন দফতরের আধিকারিকদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন তিনি। অজগর সাপটি লম্বায় আট ফুট বলে জানা গিয়েছে। বন দফতরের সহযোগিতায় ওই অজগর সাপটির পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা হয়।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় বাঁকাদহ রেঞ্জের কুলুপুকুরের জঙ্গলে একটি নীল গাই উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কুলুপুরের কাছে চোরকুন্দার এলাকায় স্থানীয়রা জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে একটি জংলী গাই দেখতে পান। শিং বিহীন ওই গাই দেশি গাভীর মতো দেখতে হলেও ঘাড়ে ঘোড়ার মতো কেশর রয়েছে। স্থানীয়রা প্রথমে সেটি ঘোড়া বলে মনে করেন। পরে খবর পেয়ে বনকর্মীরা তাড়া করে গাইটি ধরেন। সেটি জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় চিড়িয়াখানায় রাখার জন্য পাঠানো হয়েছিল।


বন দফতরের বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনের আধিকারিক সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন, কুলুপুকুরে উদ্ধার হওয়া নীল গাইটি প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী গাই। পুরুষ গাই-এর রং নীল হয়। বিহারে প্রচুর সংখ্যক নীল গাই রয়েছে। আমাদের এলাকায় আগে কখনও নীল গাই দেখা যায়নি। পাচারের সময় কেউ ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত গাইটিকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুর রেঞ্জের হেরেপর্বত এলাকার জঙ্গলে একটি জংলী গাই দেখা যায়।