গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূমঃ আজ ভোরে সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত সাংড়া অঞ্চলের ধোবাজল গ্রামে সিউড়ি আমোদপুর রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। আহত আরেক কিশোরকে প্রথমে সিউড়ি হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতদের নাম মনোজ মাড্ডি(১২), রোহিত টুডু(১৬)। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাতে লাঠি বাঁশ নিয়ে সকাল থেকে সিউড়ি আমোদপুর রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা, এখনও চলছে অবরোধ। ঘটনাস্থলে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।  


এদিকে গতকাল অন্য একটি  বিক্ষিপ্ত  ঘটনা ঘটে বীরভুমে। হস্টেলে নেই বিদ্যুৎ, এমনকী নেই জলও, আর এই অভিযোগে ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্টকে ঘিরে বিক্ষোভ নার্সদের। ঘটনা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের। নার্সদের অভিযোগ দুদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। হস্টেলে নেই জলও। এই অভিযোগেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।


নার্সদের অভিযোগ হস্টেলে দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।  এমএসভিপি ছুটিতে থাকায় তাঁকে ফোন করে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই সুপারিন্টেন্ডেন্টকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট সোমা গুছাইত বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। টেকনিশিয়ানরা ৬ মাস বেতন পাচ্ছেন না। তাই প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখেছেন তাঁরা।


সুদূর বীরভূমেই নয়, খাস কলকাতাতেও সরকারি হাসপাতালে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। আর এখানে শুধু বিক্ষোভ নয়, পড়ুয়াদের অনশন-আন্দোলনের মধ্যেই হাসপাতালে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে ছুটছেন অধ্যক্ষ। পিছনে স্লোগান দিতে দিতে তাড়া করছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে রাজা বীরেন্দ্র স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষ। সেখানেও পৌঁছে যান পড়ুয়ারা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে টানাপোড়েন। রবিবার ভোরে নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল আরজি কর হাসপাতাল চত্বর। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পাঁচদিন ধরে অনশন-আন্দোলন করছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়ারা।