বীরভূম: ভাসছে উত্তরবঙ্গ, গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। কবে বৃষ্টি, আশায় দিন গুনছেন সবাই। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা। কিন্তু অবশেষে কি সিকে ছিঁড়ল বীরভূমের কপালে? সপ্তাহান্তে কি সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? আজ, ১৫ জুন, শনিবার, অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি কেমন থাকবে বীরভূমের আবহাওয়া? কতটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? সামান্য হলেও কী কমতে পারে তাপমাত্রা? দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে। 


মধ্যরাতে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূমে। রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বীরভূমে। তবে এতে তাপমাত্রার সেভাবে পতন হবে না। আজ, বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার সর্বাধিক পরিমাণ থাকবে ৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সারাদিনই হালকা মেঘ থাকবে আকাশ। সকালের দিকে থাকবে হালকা রোদ। তবে রাতের পরে সারাদিনে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বীরভূমে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গে। অর্থাৎ বীরভূমকে বৃষ্টির শীতলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুটা সময়। 


বীরভূমের ভৌগলিক অবস্থান (Birbhum Geographical Location):  বীরভূম, বর্ধমান বিভাগের উত্তরতম জেলা। আকারে এই জেলা ত্রিকোণ, যার নিম্নস্থ বাহুটি তৈরি করেছে অজয় নদী (Ajay River)। বীরভূমের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরি হয়েছে মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের সন্নিকটে অবস্থিত।  বীরভূমের পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। বীরভূমকে বলা হয় রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির (Chhotanagpur) অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।


আপেক্ষিক জলবায়ু (Birbhum Climate): বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু (Climate) শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু  তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে (Summer) তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে (Winter) আবার  ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের (Annual Rainfall) পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।


বীরভূমের আজকের আবহাওয়া (Birbhum Today Weather) : মধ্যরাতে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূমে। রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বীরভূমে। তবে এতে তাপমাত্রার সেভাবে পতন হবে না। আজ, বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার সর্বাধিক পরিমাণ থাকবে ৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সারাদিনই হালকা মেঘ থাকবে আকাশ। সকালের দিকে থাকবে হালকা রোদ। তবে রাতের পরে সারাদিনে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বীরভূমে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গে। অর্থাৎ বীরভূমকে বৃষ্টির শীতলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুটা সময়। 


সূর্যোদয় (Sunrise) -  সকাল ০৪.৫৩


সূর্যাস্ত (Sunset) -  বিকেল ০৬.২৮


বঙ্গের আজকের আবহাওয়া ( West Bengal Weather):  আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা। একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। কালিম্পং, সিকিম ও ভুটানে ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, ডায়না সহ একাধিক নদী। 


আরও পড়ুন: Manali-Parambrata: মানালির ক্রাশ ছিলেন পরমব্রত! প্রেমের বার্তা পৌঁছে দিতে কী করতেন অভিনেত্রী?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।