নান্টু পাল, বীরভূমঃ সরকারি বাসের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৯ জন অটো যাত্রীর ( Massive Road Accident in Birbhum)। জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বীরভূমের রামপুরহাট থানার তেলডা গ্রামের কাছে । তবে কী করে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, সরকারি বাস এবং অটো কীভাবেইবা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াল, তা জানতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বীরভূমে।


বেলাশেষে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিল অটোতে করে ওই ৯ জন


জানা গিয়েছে, ধান পোঁতার কাজ চলছিল। বেলাশেষে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিল অটোতে করে ওই ৯ জন। ঠিক সেই সময় রামপুরহাটের দিক থেকে সিউড়ি-র দিকে আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাস। আর ওই সরকারি বাসের সঙ্গেই আচমকা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে যাত্রীবাহী অটোটি। জোর ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় মুহূর্তেই। প্রাণ হারান অটোর ৯জন যাত্রীই। অটোচালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রামপুরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে দুর্ঘটনার জেরে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশ এসে সেই যানজট সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মৃতদেহ রামপুরহাট মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দিয়ে আসা হয়েছে। 


আরও পড়ুন,'এক কাপড়ে তুলে আনা উচিত', অনুব্রত ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু


রাজ্যে একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েই চলেছে


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরের কাছেও জাতীয় সড়কে মৃত্যু হয় ২ পর্যটকের। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়  হাওড়ার এক দম্পতির। মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের শলপ ব্রিজে। দিদির বাড়ির পুজোতে গিয়ে ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থেকে ছিটকে সার্ভিস রোডে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে কারখানায় ঢুকে পড়ে একটি বাস। জানা গিয়েছে, ওই বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক মহিলা যাত্রী। আহত হয় ২০ জনেরও বেশি। তারপর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে  মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর।


'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' নিয়ে একাধিক কর্মসূচিতেও কি বাড়ল না সচেতনতা ?


 মূলত রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকেই বাইরে বসে হেলমেট পড়ছেন না। গাড়িতে বসে সিট বেল্ট বাধছেন না। নিয়ম বিধি না মেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।