প্রকাশ সিনহা, বগটুই : রামপুরহাটকাণ্ডে (Rampurhat) ধৃতদের বিশেষ পদ্ধতিতে জেরা করছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে জেরা করা হচ্ছে।



কী এই ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট? 

এই পদ্ধতিতে জেরার সময় উপস্থিত থাকছেন একজন মনোবিদও। অভিযুক্তর কথা বলার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা দেখে, ওই মনোবিদ আন্দাজ করার চেষ্টা করবেন, অভিযুক্ত সত্যি না মিথ্যা বলছেন। সেইমতো তিনি রিপোর্ট দেবেন সিবিআই-কে । 

কতজন হেফাজতে ? 


শুক্রবার জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ৬ অভিযুক্তকে। পাশাপাশি এদিনই রামপুরহাটের দমকলের OC এবং রামপুরহাট থানার ২ পুলিশ কর্মীকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সূত্রের খবর, হত্যাকাণ্ডের রাতে কী হয়েছিল, মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা আরও ৯ অভিযুক্তকে এদিনই হেফাজতে নেয় সিবিআই। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে, এক নাবালক বাদে মোট ১৯ জনকে হেফাজতে নিয়েছে তারা।


নিহত ৭ জনের DNA পরীক্ষা

অন্যদিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নিহত ৭ জনের DNA পরীক্ষা করাবে CBI। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই কারণে DNA পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে আরও ৯ জনকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। 


ঘটনার প্রেক্ষাপট


২১ মার্চ রাতে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুনের পরই বগটুইয়ে ৯ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। ঘটনায় নিহত ৭ জনের দেহের DNA পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিল CBI  গত ২১ মার্চ রাতে ভাদু শেখের খুনের পরই বগটুইয়ে গ্রামে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুড়ে যাওয়া মরদেহ তাঁদের সনাক্ত করতেই দেওয়া হয়নি । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই,অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৭ জনের DNA পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে CBI সূত্রের খবর।