কলকাতা : গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। মামলার ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারার উল্লেখ করা হয়েছে ৩৫ পাতার এই চার্জশিটে। 
সিবিআই চার্জশিটে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।



১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট
অনুব্রতর সম্পত্তির ৫৩টি দলিল, ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের তথ্যের উল্লেখ রয়েছে এই চার্জশিটে, খবর সূত্রের। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির অন্যান্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্যেরও কথা রয়েছে এই চার্জশিটে । 


সায়গল হোসেনকে  জেরা
গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রভাবশালী তত্ত্বে ফের খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন। ফলে দুর্গাপুজো জেলে বসেই কাটাতে হবে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সভাপতিকে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে  আসানসোল আদালতে তোলা হয় গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। ২৯ অক্টোবর ফের অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে তোলা হবে


অন্যদিকে, শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করবে ইডি (Enforcement Directorate) । প্রথমবার ইডি জেরা করবে কেষ্টর দেহরক্ষীকে । জেরার জন্য দিল্লি থেকে এসেছেন ইডি-র তিন আধিকারিক । আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করবেন এই তিন আধিকারিক । গরুপাচারকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেরা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসবে সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির প্রসঙ্গ। প্রয়োজনে সম্পত্তির নথি সঙ্গে নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। কোথা থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী এত টাকা পেয়েছিলেন, তা-ও জানতে চাওয়া হবে।


বিপুল টাকার উৎস কী ?


গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে, অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা একজন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের আয়ের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্পত্তি কি সায়গলের ? নাকি তাঁর নামে অন্য কেউ সম্পত্তি কিনেছে ? এই বিপুল টাকার উৎস কী ? এবার তা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করবে ED। আসালসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে।