কলকাতা : আজ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করবে ইডি (Enforcement Directorate) । প্রথমবার ইডি জেরা করবে কেষ্টর দেহরক্ষীকে । জেরার জন্য দিল্লি থেকে এসেছেন ইডি-র তিন আধিকারিক । আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করবেন এই তিন আধিকারিক । গরুপাচারকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেরা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসবে সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির প্রসঙ্গ। প্রয়োজনে সম্পত্তির নথি সঙ্গে নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। কোথা থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী এত টাকা পেয়েছিলেন, তা-ও জানতে চাওয়া হবে।


বিপুল টাকার উৎস কী ?


গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে, অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা একজন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের আয়ের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্পত্তি কি সায়গলের ? নাকি তাঁর নামে অন্য কেউ সম্পত্তি কিনেছে ? এই বিপুল টাকার উৎস কী ? এবার তা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করবে ED। আসালসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। 


১৫ সেপ্টেম্বর CBI’এর রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়, অনুব্রতর দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেছে এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, সায়গলকে গিয়ে জেরা করে তাঁর সম্পত্তি, টাকার উত্‍স ও বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে ED। 


সূত্রের খবর, এর আগে সায়গলকে হেফাজতে চেয়ে জেরার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। দিল্লিতে সায়গলের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি, এই যুক্তিতে আবেদন খারিজ করে আদালত। ইডি-কে আসানসোল আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 


এরপর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই আবেদন করে ইডি। যা মঞ্জুর হয়। সম্প্রতি সায়গলকে আদালতে পেশ করা হয়। আইনজীবী না থাকায় তিনি জামিনের আবেদন করেননি। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সায়গলকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।  


আরও পড়ুন ; নামে-বেনামে কত সম্পত্তি? সায়গল হোসেনের স্ত্রী ও মাকে তলব ইডি-র