ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সিগন্যাল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েও আবার পিছিয়ে এল এক্সপ্রেস (Howrah Jaynagar Express)। বীরভূমের রামপুরহাটে হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেসে বিপত্তি। রামপুরহাট স্টেশন ছাড়াতেই এগিয়ে গিয়েও পিছনে এল ট্রেন। হাওড়া থেকে বিহারের জয়নগর যাওয়ার সময়ই মূলত এই ঘটনা ঘটে। কীভাবে বিপত্তি? প্রশ্ন তুলে রামপুরহাটে যাত্রীদের বিক্ষোভ। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক, দাবি যাত্রীদের। কীভাবে বিপত্তি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল পূর্ব রেল। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছাড়ল হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস।


হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেসে ঠিক কী কারণে এই বিপত্তি ?


প্রসঙ্গত, রাজ্য-সহ সারা দেশে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কখনও মুখোমুখি সংঘর্ষ, কখনও বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারও বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে ঘুমিয়ে পড়া বা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে গিয়েও দুর্ঘটনার নজির রয়েছে।তবে বীরভূমের রামপুরহাটে হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেসে ঠিক কী কারণে এই বিপত্তি ঘটেছে, তা এখনও সামনে আসেনি। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। 


অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ?


তবে যাত্রীর দাবি অনুযায়ী অসুস্থ ছিলেন চালক, এটা যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও একটি প্রশ্ন অবধারিতভাবে আসবে, এখবর কি রেলের নজরে ছিল না। চালকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কত খবর রাখে, এই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে আদৌ এসব ঘটেছে কিনা, নাকি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা ক্রমশ তদন্তের পরেই প্রকাশ্যে আসবে।


জ্বল জ্বল করছে ওড়িশার ভয়বহ ট্রেন দুর্ঘটনা 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশার ভয়বহ ট্রেন দুর্ঘটনা এখনও চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। এর আগেও তিনবার বড় ও বেশ কয়েকবার ছোটখাট দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস । তবে এবারের দুর্ঘটনা ভয়াবহতার বিচারে ছাপিয়ে গিয়েছে সব। এর আগে ২০০২ সালের ১৫ মার্চ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাতটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। তৎকালীন হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল নেল্লোরের একটি রেলব্রিজে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ যাত্রী। ট্রেন লাইনের অবস্থা খারাপ হওয়া সেবার কারণ হিসেবে সামনে উঠে এসেছিল।


আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মতো কেউ করেননি..', সাক্ষাতের পর প্রশংসা কুড়মি নেতাদের


তবে ইতিহাসের পাতায় আরও ভুরিভুরি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। ১৯৯৯ সালের অগাস্ট মাসে অসমে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ২৯০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।