আবির ইসলাম, সন্দীপ সরকার, সুমন ঘড়াই, রামপুরহাট : বীরভূমের রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। রামপুরহাট হাসপাতাল সূত্রে কবর, ইতিমধ্যে ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ শিশু, ৬ মহিলা ও ১ পুরুষ। ৩৫৬-র দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি' , হুঁশিয়ারি সুকান্তরঅন্যদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাতারাতি ১০টি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, জ্বলজ্যান্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারা হল। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যজুড়ে অরাজকতা, ৩৫৬-র দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি' , হুঁশিয়ারি সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, এই রাজ্যে বারবার উত্তপ্রদেশের প্রসঙ্গ টানা হয়, তাহলে এখানে কী হচ্ছে! আজ এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রতিনিধিরা। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ' আমাদের রাজ্য়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনিই পুলিশ মন্ত্রী, তিনিই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাধীনতার পর এত বড় নৃশংস ঘটনা, এত বড় গণহত্যা আর ঘটেনি... মধ্যযুগীয় বর্বরতা'
নবান্নে জরুরি বৈঠকনবান্নে জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বৈঠকে বসেন। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, কীভাবে ঘটনা ঘটল, স্থানীয় প্রশাসনের কতটা তত্পরতা ছিল, এ সব নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হবে।কে আগুন ধরালো? প্রতিহিংসা? কীভাবে ছড়ালো আগুন? উপপ্রধানের খুনের সঙ্গে বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। সোমবারই জাতীয় সড়কের ধারের দোকানে চা খাওয়ার সময়, উপপ্রধানকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হয় উপপ্রধানের। তারপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।